Friday, 18 July, 2025
18 July, 25
Homeআন্তর্জাতিক নিউজSatyajit Ray: পৈতৃক বাড়ি ভাঙা! চুপ করে রইল না ভারত সরকার, ইউনূসকে...

Satyajit Ray: পৈতৃক বাড়ি ভাঙা! চুপ করে রইল না ভারত সরকার, ইউনূসকে দেওয়া হল এই বার্তা

বিষয়টি সামনে আসতেই গতকাল, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদে সরব হন। ইউনূস সরকারকে অনুরোধ করেন এই বাড়ি না ভাঙার জন্য।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হতেই ইউনূস সরকারকে বার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করা হল যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙেন। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে ভারত।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পারিবারিক বাড়ি ভাঙা হচ্ছে! উদ্বেগ মমতার

হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে।

বিষয়টি সামনে আসতেই গতকাল, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদে সরব হন। ইউনূস সরকারকে অনুরোধ করেন এই বাড়ি না ভাঙার জন্য। একইসঙ্গে ভারত সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এরপরই ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে। ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ ১৪ তলায় হুলস্থুল! মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন

অন্যদিকে, ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে বলেন যে বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাড়িটি ১০০ বছরের বেশি পুরনো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে।

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন