সংঘর্ষে উত্তাল বাংলাদেশ। হাসিনা-গড় গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত তিন। বুলেটের জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৯। বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে একটি জন সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রেদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শেখ হাসিনার পতন উদযাপনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আওয়ামি লিগ প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে তথাকথিত বিপ্লবী ছাত্ররা। অভিযোগ, সভামঞ্চে হামলা চালিয়ে তাঁদের মারধর করে আওয়ামি নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে সেনা ও পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ মমতা-অভিষেকদের মিছিলের রুট-বদল, বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখে বৃষ্টি মাথায় পথে মমতা-অভিষেক
আজ ‘জুলাই গণ অভ্য়ুথ্থানে’র এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশে আজ এই দিনটি ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসাবে পালিত হচ্ছে। গত বছর এই সময়ই হাসিনার পতনের সূচনা হয়েছিল। এই কারণে এবছরের ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করে দলটি।
আরও পড়ুনঃ হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল! ডাউন লোকালটা আসতেই এগিয়ে গেল যুগল, মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন দেহ
এই পদযাত্রাকে ঘিরে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রাকিবুল হাসান। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কংশুরে ইউএনওর গাড়িতে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। এরপর ফের এনসিপির নেতারা সভা করতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।