কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীকে অচৈতন্য করে ধর্ষণের অভিযোগ। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। আজ, বুধবার জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত এই সাজা শোনাল। পাঁচমাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে আদালত। এই সাজা শোনার পর স্বস্তি নির্যাতিতার পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ এবার নজর সিরিয়া; হামলা চালাল ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী
ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত ওই টোটোচালক। ওই দিন ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য ওই চালকের টোটোতে উঠেছিল। পথে ওই ছাত্রীকে মাদক মেশানো চকোলেট খেতে দিয়েছিল ওই টোটোচালক। সেটি খেয়েই ওই কিশোরী অচৈতন্য হয়ে যায়। সেই সুযোগে স্কুলের পথে না গিয়ে অচৈতন্য কিশোরীকে তিস্তার পাড়ে নিয়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। এরপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ঘটনার কথা কাউকে বললে চরম ক্ষতি করা হবে বলেও ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ যেমন কর্ম তেমন ফল; হাসিনার পতন উদযাপন করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেলেন ছাত্রনেতারা
ভয়ে মুখবন্ধ করে রেখেছিল ওই কিশোরী। এদিকে ওই টোটোচালক কিশোরীর বাড়িতে প্রেগন্যান্সি কিট পাঠিয়েছিল। সেটি পরিবারের হাতে পড়ে যায়। ওই কিশোরীকে পরিবারের লোকজন চেপে ধরলে সব কথা জানা যায়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। কালবিলম্ব না করে অভিযুক্ত টোটোচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পকসো ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতে সেই মামলার শুনানি হয়। পুলিশ এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দেয় আদালতে। ১০ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ওই টোটোচালককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল। পাশাপাশি একলক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারক নাবালিকার পরিবারকে পাঁচলক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের জন্য লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।