তাঁর কথাতেই নাকি এবার থেকে আখের রসের চিনি দিয়ে তৈরি হবে কোকাকোলা। এমনই আজব দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসলে কোকাকোলায় যে মিষ্টি ব্যবহৃত হয়, তা উচ্চ ফ্রুকটোজ সম্পন্ন কর্ন সিরাপ দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকায় শীঘ্রই কোকাকোলার স্বাদ বদল হবে। কর্ন সিরাপের বদলে আখের রসের চিনি দিয়ে তৈরি হবে পানীয়।
আরও পড়ুনঃ ‘কখনো না কখনো তুমি বুঝবে’! বুদ্ধবাবু আপনি কি শুনছেন ?
বুধবার ট্রাম্প তাঁর সোশাল মিডিয়া ট্রুথে বলেন, “আমেরিকায় কোকাকোলা যাতে আখের রসের চিনি দিয়ে তৈরি হয়, তা নিয়ে আমি সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমার কথায় রাজি হয়েছে। সংস্থার সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা ভালো পদক্ষেপ করেছে।” যদিও কোকাকোলা সংস্থা ট্রাম্পের এই দাবিতে শিলমোহর দেয়নি। তবে তারা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের ব্র্যান্ডের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের উৎসাহের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কোকাকোলায় নতুন কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না, তা আপনাদের শীঘ্রই জানানো হবে।’
বর্তমানে মেক্সিকো, ব্রিটেন, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে কোকাকোলা তাদের পানীয়ে আখের রস দিয়ে তৈরি চিনি ব্যবহার করে। কিন্তু ১৯৮৫ সাল থেকে আমেরিকায় কোকাকোলা তাদের পানীয়ে উচ্চ-ফ্রুক্টোজ সম্পন্ন কর্ন সিরাপ ব্যবহার করা শুরু করে। যার নেপথ্যে মূল কারণ হল – দেশে চিনির মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষি ভর্তুকিতে নিয়ম পরিবর্তন। যদি কোকাকোলা আমেরিকায় ফের আখের রসের তৈরি চিনি ব্যবহার শুরু করে, তাহলে তা দেশটির কর্ন চাষি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত শিল্পের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ নিখুঁত খিস্তিপিডিয়া! একদম স্ট্রেটকাট বোমের কারখানা; হালকা মেজাজে বইটি পড়তেই পারেন
এ প্রসঙ্গে কর্ন রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও জন বোডে বলেন, “হাই-ফ্রুক্টোজ সম্পন্ন কর্ন সিরাপের বদলে আখের রস দ্বারা তৈরি চিনি ব্যবহার করলে আমেরিকার খাদ্যপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প মার খাবে। কমে যেতে পারে কৃষকদের আয়। এমনকী দেশের বাজারে বিদেশি চিনির আমদানি বেড়ে যেতে পারে—যার কোনও পুষ্টিগত উপকারিতাও নেই।”