পারিবারিক আদালতের ডিভোর্সের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে এই বিয়েতে আর কোনও অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করা এবং স্বামীকে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করা নিষ্ঠুরতার সামিল বলে উল্লেখ করল আদালত। হাইকোর্ট আরও বলেছে যে স্ত্রীর এই ধরনের আচরণ স্বামীর মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ডিভোর্সের নির্দেশ শুধু বহাল রেখেছে তাই নয়, আদালত মহিলার মাসিক ১ লক্ষ টাকা ভরণপোষণের দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চালু নয়া ব্যবস্থা! বন্দে ভারতের টিকিট ১৫ মিনিট আগেই
বম্বে হাইকোর্ট বলেছে যে বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে না করায় কোনও ভুল নেই। তবে, এর জন্য স্বামীকে তাকে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহ করা নিষ্ঠুরতা। বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে এবং বিচারপতি নীলা গোখলের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছে যে এই মামলায় ওই মহিলার আচরণ তাঁর স্বামীর প্রতি “নিষ্ঠুরতা” হিসেবেই বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুনঃ রহস্য! ভিড় বাড়ছে দিঘায় একুশে জুলাইয়ের আগে
২০১৩ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। ২০১৫ সালে, স্বামী পুনের পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। তা মঞ্জুরও করা হয়। মহিলা তাঁর আবেদনে জানান যে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে অত্যাচার করত কিন্তু তিনি এখনও তাঁর স্বামীকে ভালবাসেন। এদিকে, তাঁর স্বামীর অভিযোগ স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইত না, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করত এবং বন্ধুবান্ধব এবং কর্মীদের সামনে তাঁকে নানাভাবে বিব্রত করত। সেই কারণেই আদালত ডিভোর্সের নির্দেশ বহাল রেখেছে।