বর্ষার একঘেয়ে বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা এবং শহরতলিতে প্রায় প্রতি দিনই বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও মুষলধারে, কখনও ঝিরঝিরে হালকা বৃষ্টি। তবে দক্ষিণবঙ্গে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তা টানা কয়েক দিন ধরে চলতেও পারে। এমনটাই পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কারণ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২১ জুলাই হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই যান নিয়ন্ত্রণ, জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মৌসুমি অক্ষরেখা বিকানের, সিকর হয়ে উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে পুরুলিয়া-কাঁথি পর্যন্ত বিস্তৃত। ২৪ তারিখের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রাজ্যে অত্যন্ত সক্রিয়। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প প্রচুর পরিমাণে ঢুকছে স্থলভাগে। যা বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই এখন কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামী বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বুধবার ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার একই সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়। শনিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে। রবিবারের জন্যেও এই জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বড় পদক্ষেপ কমিশনের; বাতিল হওয়ার পথে সাত রাজনৈতিক দল
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে এবং রবিবার সেই সঙ্গে কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারেও কমলা সতর্কতা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে। দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর দিনাজপুরেও। বাকি জেলায় আপাতত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সর্বত্রই।