Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeদক্ষিণবঙ্গBarasat: মমতা সম্পর্কে দীপক ঘোষের সেই বিতর্কিত বইয়ে নিষেধাজ্ঞা

Barasat: মমতা সম্পর্কে দীপক ঘোষের সেই বিতর্কিত বইয়ে নিষেধাজ্ঞা

প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের ‘বিতর্কিত’ বইয়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করল বারাসত আদালত।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের ‘বিতর্কিত’ বইয়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করল বারাসত আদালত। মঙ্গলবার বারাসত ফার্স্ট কোর্টের সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) মানহানির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি আবেদনের ভিত্তিতে, বইটির প্রকাশনা, বিক্রয়, বিতরণ এবং প্রচারে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই অন্তর্বর্তীকালীন নিষেঝাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুনঃ হুঁশিয়ারি! পুতিনের হাত শক্ত করলে ভারতের উপর ১০০% শুল্ক

ওই বইটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের কয়েক জন নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে অমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের তরফে এ নিয়ে বারাসত আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কাকলির পুত্র বৈদ্যনাথ ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে প্রাক্তন আইএএস, তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপক ঘোষ বই লিখেছেন। সেখানে আমার মা (কাকলি) এবং বাবা (রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার)-কে নিয়েও অনেক কিছু লেখা ছিল। সে সব বিতর্কিত। আমরা আইনি পদক্ষেপ করি। আলিপুর আদালতে একটি মামলা করা হয়। অন্য একটি মামলা করা হয় বারাসত আদালতে।’’

বৈদ্যনাথ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বারাসত আদালত দীপকবাবুর ওই বই এবং সম্পর্কিত লেখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওই বই ছাপা, বিক্রি বা প্রচার করা যাবে না। তাঁর কথায়, ‘‘এর পর আমরা উচ্চ আদালতেও যাব।’’ তিনি আরও জানান, ওই বই যারা ছাপিয়েছেন এবং তার প্রকাশক এবং পরিবেশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও আইনি পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, আইএএস আধিকারিক হিসেবে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনে নানা দায়িত্ব সামলানোর পরে নব্বইয়ের দশকের শেষপর্বে অবসর গ্রহণের পরে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলে যোগ দিয়ে মহিষাদল থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন দীপক।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতরকে স্বশাসিত ঘোষণার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের; জয়প্রকাশের সঙ্গে ফুঁসে উঠলেন সুজনও

পরে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এবং মেদিনীপুর লোকসভা আসনে সিপিআইয়ের প্রবোধ পণ্ডার (অধুনা প্রয়াত) বিরুদ্ধে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় দীপকের। তৃণমূলনেত্রী মমতার রাজনীতি ও জীবন নিয়ে দীপকের লেখা বই প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছিল। তৃণমূলের তরফে মুকুল রায় মানহানির মামলা করেছিলেন, আদালতে ১২ বছর গড়িয়ে গেলেও সে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। দীপকের ওই বই থেকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সম মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলগুলির বেশ কয়েক জন নেতা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন