সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে ছাব্বিশের ভোট নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের দাবি ছিল, আগামী ভোটে বাংলায় বিজেপি ৫০ টা আসনও পাবে না।
আরও পড়ুনঃ আর কত যুদ্ধ হবে? সংঘাত চরমে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে
এদিন ভোটার তালিকা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। মিঠুনের দাবি, “ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না।”
ভিন রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে বিজেপি এবং কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। অবিলম্বে অত্যাচার বন্ধ না হলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ওই অভিযোগ উড়িয়ে মিঠুনের দাবি, “দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সামনে ভোট, তাই তৃণমূল এটাকে ইস্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে।”
আরও পরুনঃ “২৪ জুলাই”; শুধু একটি দিন নয়, এক শূন্যতার দিন
বিজেপি নেতা, অভিনেতার বক্তব্য, কোথাও কোনও বাঙালির ওপর অত্যাচার বা কোনও সত্যিকারের নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বেছে বেছে তাদেরই বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন।
এরপরই মিঠুন বোমা ফাটান। মিঠুনের দাবি, “বাংলার ভোটার লিস্টে এই অনুপ্রবেশের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওরাও (তৃণমূল) জানে এদের (ভুয়ো নাগরিকদের) বেছে বেছে বার করে দিলে এরা ৭০টা সিটও পাবে না। তাই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হতেই তা আটকাতে তৃণমূল উঠে পড়ে লেগেছে।”
তবে তৃণমূলের এই আক্রমণের সামনে কর্মীরা যাতে মাথা নত না করেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যাতে কমিশনকে যোগ্য সাহায্য করা হয়, এ জন্য বাংলার সমস্ত নাগরিককে আহ্বান জানিয়ে মিঠুন বলেন, “প্রতিটি এলাকায় কর্মীদের বলব, খোঁজখবর শুরু করুন, কারা অনুপ্রবেশ করে বাংলায় রয়েছে। কারও ওপর কোনও আক্রমণ হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।”এজন্য দুটি ফোন নম্বরও এদিন দেন মিঠুন।