শেষমেশ দেখা হল। তবে তাতে আরও গাঢ় হল রাজনৈতিক ধোঁয়াশা।
২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন ধর্মতলায় পুলিশি বাধায় মমতার সঙ্গে দেখা হয়নি তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। মুখ ভার করে ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যখন পা রাখলেন বীরভূমের রাঙাবিতানে, হঠাৎ করেই হাজির কেষ্ট! চপ-মুড়ি মুঠোয় করে ঢুকলেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে, প্রায় দশ মিনিট কথা বললেন, বেরিয়ে এলেন, কিন্তু টু শব্দ শব্দটি করলেন না সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। কথায় আছে, চুপের শব্দ বিরাট।
আরও পড়ুনঃ সাড়ে সাতটা নাগাদ বোলপুরের রাঙাবিতানে মমতা
তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত এখন। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের পর একে একে পৌঁছন কোর কমিটির নেতারা। তাঁদের বিদায়ের পরেই অনুব্রতের প্রবেশ— এই ক্রমানুসারে রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। যেমনটা হয়।
সাংবাদিকরা যখন সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন, তখন গাড়ির কাচ নামিয়ে একরাশ নীরবতা উপহার দেন অনুব্রত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, জানতে চাইলে সঙ্গে থাকা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “সাক্ষাৎ হয়েছে, কথাও হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে, সেটা অনুব্রত বলবেন।”
সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসি-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের একটি অডিও ঘিরে ঝড় উঠেছিল। দল ক্ষুব্ধ হয়, অনুব্রত প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। সেই ঘটনার পর ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে কার্যত তাঁকে দূরে রাখা নিয়েও জল্পনা চরমে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ আর কেউ আটকানোর নেই, কর্মী ছাঁটাই নিয়ে কার্যত ‘নিশ্চিত’
এই আবহে অনুব্রতের হঠাৎ সাক্ষাৎ কি তবে শাস্তি পর্বের ইতি? নাকি নতুন কোনও চুক্তির শুরু? কী বার্তা দিলেন মমতা? কী প্রতিক্রিয়া জানালেন কেষ্ট? আপাতত জল্পনার চাবিতে তালাবন্ধ সেই ঘরের দরজা। তবে রাজনীতির ওয়াকিবহাল মহল মোক্ষম জানে, এমন নীরবতা থেকেই উঠে আসে সবচেয়ে বড় খবর।
এদিকে, সোমবার থেকে বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি—প্রশাসনিক বৈঠক, পদযাত্রা, ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান এবং মঙ্গলবার ইলামবাজারে সরকারি সভা। অনুব্রতের নতুন সক্রিয়তা সেখানে কী ছাপ ফেলবে, সেদিকে নজর গোটা জেলার।