বিহারে কোনও এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করার শংসাপত্র (রেসিডেন্স সার্টিফিকেট) পেলেন জনৈক ‘ডগ বাবু’। পটনার মসৌড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া ওই শংসাপত্রে রয়েছে একটি কুকুরের ছবিও। আর আপত্তিকর শব্দে লেখা হয়েছে ‘ডগ বাবু’র পিতামাতার নাম! বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারা প্রকৃত ভোটার, কাদের নাম তালিকায় থাকবে, তা নির্ধারিত হচ্ছে কমিশন নির্ধারিত ১১টি নথির ভিত্তিতে। ঘটনাচক্রে, এই ১১টি নথির মধ্যে রয়েছে রেসিডেন্স সার্টিফিকেটও।
আরও পড়ুনঃ বয়স ২১, কেউ ৩৫, বাস ছুটছিল অন্ধ গলিতে; নারী পাচারের ‘করিডর’ হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গ!
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কুকুরের ছবি সম্বলিত ওই শংসাপত্রের ছবি। শংসাপত্রের ডান দিকে রয়েছে কুকুরের ছবি। রয়েছে ‘ডগ বাবু’র পিতামাতার নাম-ঠিকানাও। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বিহার সরকারের সিলমোহরও রয়েছে ওই শংসাপত্রে। নীচে রয়েছে আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব আধিকারিক মুরারী চৌহানের ডিজিটাল স্বাক্ষর। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গবার্তা ।
বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে ভোটমুখী বিহারে। বৈধ ভোটারদের নাম ছেঁটে ফেলে অবৈধ ভাবে ভুয়ো ভোটারদের নাম ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিহারের পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদব। সমাজমাধ্যমে ওই শংসাপত্রের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “কুকর স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র পাচ্ছে। অথচ মানুষজনকে এই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এটাই আমার মহান ভারত।” এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবারে আউশনেশ্বর শিবমন্দিরে হুড়োহুড়ি; পদপিষ্ট হয়ে মৃত ২
বিতর্কের মুখে পটনার জেলাশাসক ত্যাগরাজন এসএম বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত কর্মী এবং আধিকারিকের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা, তাঁদের সাসপেন্ড করা হবে। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল করার সাহস কেউ পাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, তা জানতে সাইবার সেলের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ওই অফিসে কর্মরত কর্মী-আধিকারিকদের কাছেও জবাব তলব করা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।
ভিন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা, অনুপ্রবেশ-সহ একাধিক ইস্যুতে আজ (সোমবার) উত্তাল হতে পারে সংসদ। এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে একপ্রকার সেই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ড হারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভুয়ো ভোটার লিস্ট; নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তার জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।
এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগে সরব হন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি হিংসার রাজনীতি করছে। এসআইআর-এর নামে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে।’