কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন নিয়ে জটিলতা বাড়ল আরও। কবে স্টেশন খুলবে, তা নিশ্চিতভাবে বলতেই পারছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পিলারে ফাটল দেখা যাওয়ার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশন। গত সোমবার থেকে বন্ধ পরিষেবা। এবার পুরো স্টেশন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে আস্ত স্টেশন। ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার জারি করেছে কলকাতা মেট্রো।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে তিন ‘ভিলেনে’র চোখরাঙানি, ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখা! বিপর্যয়ের আশঙ্কা বঙ্গে
ব্লু লাইনের দক্ষিণ প্রান্তের সর্বশেষ স্টেশন হল কবি সুভাষ। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো যাতায়াত করে এই লাইনে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত। কবি সুভাষ স্টেশনটি হল মূলত নিউ গড়িয়া অঞ্চলের জন্য। সেই স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, নতুন করে স্টেশন তৈরি করতে নূন্যতম ৯ থেকে ১০ মাস সময় লাগবে। সেই সময় এক বছরও পেরিয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ শহরতলীর রেলযাত্রী এবং সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগ আরও চরমে উঠবে। মোট ৯ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে নতুন মেট্রো স্টেশন। শুধু পিলারে ফাটলই নয়, প্লাটফর্মের অবস্থার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১টি স্তম্ভ বা পিলার আছে কবি সুভাষ স্টেশনে। ২১টি স্তম্ভের মধ্যে ৪টি স্তম্ভে ফাটল ধরা পড়েছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের একাধিক স্তম্ভেই অল্পবিস্তর ফাটল ধরেছে। আভ্যন্তরীণ তথ্য বলছে, কর্মী সঙ্কটও উদ্বেগের কারণ। অনুমোদিত কর্মীর সংখ্যার থেকে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি কর্মী কম আছে। রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির ত্রুটি কোন মাত্রায় পৌঁছেছে, তা গত এক বছরে একাধিক ঘটনায় প্রমাণিত।
আরও পড়ুনঃ সতর্কতা সাইরেন, রাস্তায় যানজট; আতঙ্কে কাঁপছে রাশিয়া-জাপান থেকে হাওয়াই-ক্যালিফোর্নিয়া
পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে বর্ষার জমা জল ডি-ওয়াল দিয়ে ভেতরে ঢুকে এসে ভূ-গর্ভের ভেতরের স্টেশন থই থই করে ফেলে। চাঁদনী চক এবং সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের মাঝ বরাবর অংশে ঝর্নার মতো জল পড়তে দেখা গিয়েছে, মাস খানেক আগে ঝড়ো হাওয়ায় কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনের শেড উড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে মেট্রো পরিষেবায়। আর এবার কবি সুভাষ।