বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাবরা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। বারবার কাউন্সিলারকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এর জেরেই প্রতিবাদে শহরের ব্যস্ততম রাস্তা যশোর রোড অবরোধে নামলেন বাসিন্দারা। এর জেরে লম্বা জ্যাম রাস্তায়। আটকে যাত্রিবাহী বাস থেকে পণ্য বোঝাই লরি। ভারত বাংলাদেশের মাঝে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ যশোর রোড অনরুদ্ধ হওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। এদিকে জল নামার ব্যবস্থা না করা হলে অবরোধ তোলা হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ পরমাণু যুদ্ধ লাগল বলে! যুযুধান আমেরিকা-রাশিয়া? শুল্কচাপ এবার বদলে যেতে পারে পরমাণু লড়াইয়ে
এক টানা চলছে বৃষ্টি। মাঝে সূর্যের দেখা মিলতে না মিলতেই আকাশ ঢাকছে কালো মেঘে। মুহূর্তের মধ্যেই হাজির বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এটাই পশ্চিমবঙ্গে ছবি। এর জেরে জলমগ্ন একাধিক অঞ্চল। কোথায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় জল নামছে তো কোথায় মাস ঘুরতে চলার অবস্থা, তবু জল সম্পূর্ণ নামছে না। বৃষ্টি হলেই ফের বাড়ছে জল। চরম দুর্ভোগে হাবরা পুরসভায় দু’নম্বর এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। টানা জল জমে থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বাড়িগুলিতে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া সাপ ব্যাঙের উৎপাতও শুরু হয়েছে দাবি বাসিন্দাদের। এই নাগরিক সমস্যার সমাধানে অবশেষে পথ অবরোধে নামলেন বাসিন্দারা।
শুক্রবার রাতে যশোর রোড আটকে বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটানা এতদিন ধরে জল জমে থাকায় অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কাউন্সিলারকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। এমনকি জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তিনি দেখা পর্যন্ত করতে আসেননি বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দা কুন্তল সাহা স্পষ্ট জানান, জল নামানোর কাজ শুরু হলে তবে তাঁরা অবরোধ তুলবেন।
আরও পড়ুনঃ পুজোর অনুদান দিয়ে রাজ্য সরকারকে বিধলেন সুকান্ত মজুমদার
এদিকে যশোর রোড বন্ধ হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে লম্বা যানজট তৈরি হয়ে যায় রাস্তায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাবরা থানার আইসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেও কোনরকম সমাধান সূত্র বের করা যায়নি। অন্যদিকে, জমা জল না সরানোর বিষয়ে কাউন্সিলারের কোনও বক্তব্য মেলেনি।