Monday, 4 August, 2025
4 August, 25
Homeদক্ষিণবঙ্গGhatal: লখিন্দরের দেহ ভেলায় চাপিয়ে নদীতে পাড়ি দিয়েছিলেন বেহুলা; উন্নয়নের বাংলায় লজ্জার...

Ghatal: লখিন্দরের দেহ ভেলায় চাপিয়ে নদীতে পাড়ি দিয়েছিলেন বেহুলা; উন্নয়নের বাংলায় লজ্জার ছবি

প্রয়াত কাউন্সিলরের স্ত্রীকে দাহ করার জন্য কলার ভেলায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা লজ্জার।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

মৃত স্বামী লখিন্দরের দেহ ভেলায় চাপিয়ে নদীতে পাড়ি দিয়েছিলেন বেহুলা। উদ্দেশ্য ছিল মৃত লখিন্দরকে বাঁচানো। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও মৃতদেহ কলার ভেলায় চাপিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেল। প্রাণ ফিরে পাওয়ার আশায় নয়। বাড়ি থেকে শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল কলাগাছের ভেলায় চাপিয়ে। জলযন্ত্রণার মধ্যে এই ছবি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। সমালোচনা হতেই পাল্টা যুক্তি দিল তৃণমূল। কেন মৃতদেহ কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল, সেই যুক্তি দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি।

আরও পড়ুনঃ ৭৪ জন নিখোঁজ, ৬৮ জনের মৃত্যু, ভয়াবহ নৌকাডুবি

ঘাটাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনসা চৌধুরী রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মারা যান। তিনি এই ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর কানাইলাল চৌধুরীর স্ত্রী। মৃতদেহ দাহ করার জন্য বেশ কিছুটা পথ ভেলায় করে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হল শ্মশানে। ভেলার পিছনে সাঁতরে আসতে দেখা গেল একজনকে। আর সামনে ডিঙিতে বসে ছিলেন কয়েকজন।

গত বেশ কিছুদিন ধরেই জলমগ্ন ঘাটাল। জলযন্ত্রণার মধ্যে দাহ করার জন্য এভাবে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ল। এই নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “কথায় বলে, মরেও শান্তি নেই। এটা আজ দেখলাম। ঘাটাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলেন প্রয়াত কানাইলাল চৌধুরী। মনসা চৌধুরী তাঁরই স্ত্রী। প্রয়াত কাউন্সিলরের স্ত্রীকে দাহ করার জন্য কলার ভেলায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা লজ্জার। প্রয়াত কাউন্সিলরের স্ত্রীর মৃতদেহ যদি কলার ভেলায় নিয়ে যেতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কেমন, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ ভয়াবহ ঘটনা! শিলিগুড়ির পর এবার ডানকুনিতে, মালিকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকানো

বিজেপির কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বয়সজনিত কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ওখানে নৌকা দেওয়া রয়েছে। মৃতের পরিবার নৌকায় করে শ্মশানে গিয়েছেন। আর ওখানকার স্বাভাবিক রেওয়াজ, রীতি অনুযায়ী, কলা কিংবা বাঁশের ভেলায় করে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের সবাই মিলে থেকে মৃতদেহ দাহ করেছেন। এটা একটা স্বাভাবিক রীতি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন