Tuesday, 5 August, 2025
5 August, 25
Homeআন্তর্জাতিক নিউজBangladesh: ৫ অগস্ট, ২০২৪; ক্ষমতা বদলের এক বছর, ‘ভবিষ্যৎ’ কী হাসিনার! ইউনূসের...

Bangladesh: ৫ অগস্ট, ২০২৪; ক্ষমতা বদলের এক বছর, ‘ভবিষ্যৎ’ কী হাসিনার! ইউনূসের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে জনতার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমানের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

বাংলাদেশের অনেকেই ২০২৪ সালের ৫ অগস্টের তুলনা টেনেছেন ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর আর ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্টের সঙ্গে। তাঁদের মতে, ঢাকায় ক্ষমতার পালাবদলের গুরুত্বের নিরিখে মুক্তিযুদ্ধে জয় এবং সেনা বিদ্রোহে শেখ মুজিবুর রহমানের পতনের (এবং নিহত হওয়ার) সঙ্গেই এক সারিতে চলে আসবে গণবিক্ষোভের জেরে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের ইতির ঘটনা।

গত বছরের জুলাইয়ের গোড়ায় শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার পর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমানের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে সে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় আড়াইশোটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১৯৮টি ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।

ঘটনাচক্রে, ক্ষমতার পালাবদলের ঠিক দু’দিন আগে গত রবিবার হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতা-বিরোধী অপরাধ মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ডিসেম্বরে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে নয়াদিল্লি ‘ইতিবাচক উত্তর’ দেয়নি বলে সোমবার জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন।

আরও পড়ুনঃ ৭ আগস্ট বৈঠক; অভিমানী কল্যাণের মান ভাঙাতে আসরে অভিষেক

ঘটনাচক্রে, হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) ইউনূস প্রথম গ্রামীণ ফোনের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। নামমাত্র ফি দিয়ে। কারণ, সরকারকে তিনি বলেছিলেন, ওই ফোন গ্রামের মহিলাদের জন্য, গ্রামের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য। কিন্তু কয়েক বছর পর থেকেই হাসিনার সঙ্গে ক্রমশ তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। তার কারণ হিসেবে অনেকে আমেরিকার সঙ্গে ইউনূসের ‘ঘনিষ্ঠতা’র কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে ইউনূসের প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ‘পরিচালনায় অনিয়ম’ নিয়ে সক্রিয় হয় হাসিনার সরকার। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নিয়ে ইউনূসকে শো কজ় করা হয়। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ সরকারের খাতায় নথিভুক্ত। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সরকার ব্যাঙ্কে তাদের মনোনীত চেয়ারম্যান বসানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু ইউনূস ব্যাঙ্কের এগ্‌জ়িকিউটিভ পদ থেকে সরতে চাননি। সেই কারণে সরকার তাঁকে শো কজ় করেছিল।

কিন্তু হাসিনার চাপ এড়াতে ইউনূস গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডেকেছিলেন সে সময়। ব্যাঙ্কের গ্রহীতাদের দিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়ে শীর্ষপদে থেকে যান। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় ইউনূস বিদেশে ছিলেন। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি। আর সেই ‘যোগাযোগ’ই তাঁকে হাসিনার পতনের তিন দিনের মাথায় গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষপদে পৌঁছে দেয়। যদিও ইউনূস বিরোধীদের অভিযোগ নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এমনকি, ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর মদতপুষ্ট তদারকি সরকারের জমানায় রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টাও শুরু করেছিলেন তিনি। সে সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দু’দলই প্রকাশ্যে ইউনূসের বিরোধিতা করেছিল। এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি ইউনূস। যদিও সে দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামি (‘জামাত’ নামে যা পরিচিত) এবং জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতাদের একাংশের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত।

শুধু নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় বাংলাদেশের আর এক প্রাক্তন শাসকদল বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের রোষের আঁচও মিলেছে ইতিমধ্যে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল অভিযোগ তুলেছে, নির্বাচনী সংস্কার-সহ নানা অজুহাত দিয়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ইউনূসের সরকার এবং তাদের ঘনিষ্ঠ জামায়াত আর এনসিপি। ঘটনাচক্রে, এনসিপি নেতৃত্বের একাংশ ইতিমধ্যেই ‘মাইনাস টু’ (আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলকের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার ‘রাজনৈতিক তত্ত্ব’)-র কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন।

হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়ে গত বছরের ৩ অগস্ট শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নেতৃত্ব। এনসিপি-র এক মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ আজ শেষ হল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে। সেখানে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা দায় ও দরদের রাজনীতির ঘোষণা করেছিলাম, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ঘোষণা করেছিলাম। বলেছিলাম এমন একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করব যেখানে স্বৈরতন্ত্র আর কখনওই ফিরে আসতে পারবে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জুলাই পদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বলেছিলাম ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের বিলোপ ঘটাতে পারিনি।’’ এরপর তিনি এনসিপি-র ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ শীর্ষক ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, ঢাকার শাহবাগে বিএনপি-র ছাত্র সংগঠনের সমাবেশ থেকে পৃথক ভাবে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করা হয়।

আরও পুড়ুনঃ সোমবার দুপুর, ‘কিছু একটা হয়েছে’! বন্ধ দরজার পিছনে রাতারাতি কী এমন ঘটল বাংলাদেশে?

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচিত সরকার বেছে নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে গত কয়েক মাস ধরে। বিএনপি ধারাবাহিক ভাবে এই দাবি তুলে আসছে। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা শারীরিক সমস্যার কারণে গত জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাপর্বের শেষে মে মাসে বাংলাদেশে ফিরলেও এখনও রাজনীতিতে তাঁর তেমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। খালেদার অনুপস্থিতিতে তাঁর পুত্র তথা দলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব নিতে পারেন। কিন্তু এই আবহে গত সপ্তাহে বিএনপি জানিয়েছে খালেদা পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় জামায়াতে ইসলামির প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। বিশেষত, অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে জামাত-ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ এবং নির্বাচন ঘিরে টালবাহানার জেরে সেই অসন্তোষ আরও বেড়েছে। ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, হাসিনার পিতা শেখ মুজিবের দল আওয়ামী লীগের মতোই মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী বিএনপিও। খালেদার স্বামী তথা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাক সেনার প্রথম বাঙালি অফিসার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে রবিবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সেই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। জবানবন্দিতে সাক্ষী খোকনচন্দ্র জানান, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলি তার চোখ, নাক ও মুখে লাগে। এ সময় তিনি মাস্ক খুলে মুখ দেখান। দেখা যায়, তার বাঁ চোখ, নাক ও মুখ পুরোটাই বিকৃত হয়ে গেছে। জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, যাত্রাবাড়িতে তাঁরা যখন পৌঁছেছিলেন তখন পুলিশ তাঁদের উপরে গুলি চালিয়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনী এসে ফাঁকা গুলি করে এবং পুলিশকে থানায় চলে যেতে বলে। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎ শুনতে পাই- শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তখন সেখান থেকে সেনাবাহিনীও চলে যায়। সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর থানা থেকে পুলিশ বেরিয়ে এসে ‘পাখি মারার মতো’ গুলি করতে থাকে। তখন যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় নিয়েছেন।’’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে অপরাধের প্রমাণ এতটাই স্পষ্ট ও শক্তিশালী যে, বিচারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ থাকবে না।’’

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক পরেও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজে। এখনও আইনশৃঙ্খলার অবনতির মোকাবিলা করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও সরকার সফল হতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ দিচ্ছে। যদিও সরকার বলছে, তারা একটি অর্থবহ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সাংবিধানিক, অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের পক্ষে। যদিও সংস্কারের পক্ষে সরকারের কোনও পদক্ষেপ এখনও দেখা যায়নি।

এই পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ক্রমশ সংগঠিত হচ্ছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির সভায় মুজিব বিরোধী স্লোগানের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নির্বিচায়ে পুলিশ-সেনার গুলির শিকার হয়েছেন হাসিনা সমর্থকেরা। ময়নসিংহতেও আওয়ামী সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে এনসিপি-কে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলায় জামায়াতের সমর্থকেরা অমুসলিমদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে গত এক বছরে। এই পরিস্থিতিতে আবার বাংলাদেশ সেনা ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে কয়েক বার জল্পনা তৈরি হলেও জেনারেল ওয়াকার উজ় জামানের বাহিনী এখনও পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের পাশেই রয়েছে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন