কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল একাধিক অফিসারের নাম। এই অভিযোগেই এক্কেবারে ওয়ার্কশপ থেকে আরপিএফের হাতে গ্রেফতার দাপুটে তৃণমূল নেতা অশোক দাস। তিনি ছাড়াও আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ শিল্পায়নের স্বপ্ন, জমি অধিগ্রহণ, বিতর্ক, স্বপ্নভঙ্গ এবং এক কমরেড
ধৃতদের কাছ ছেতে বেশ কিছু ভুয়ো রেলের আইডেন্টিটি কার্ড এবং কিছু ভুয়ো নথিপত্র উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। পরে তাঁদের বীজপুর থানার হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। প্রতারণা, সরকারি নথি জালের অভিযোগে দায়ের করে পুলিশ। এদিন তাঁদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
তৃণমূলের নাম জড়াতেই স্বভাবতই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর। যদিও কাঁচড়াপাড়ার তৃণমূল সভাপতি খোকন তালুকদার বলছেন, অশোক দাস ওরফে বুলু কোনওভাবেই তৃণমূল কর্মী নন। তিনি অনেকদিন আগেই মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তিনি আবার অশোকের কঠোর শাস্তিরও দাবি তুলেছেন।
আরও পড়ুনঃ ট্রাম্পের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ! জোট বাঁধছে BRICS! মোদীকে ফোন ব্রাজ়িলের কম্যুনিস্ট প্রেসিডেন্টের
তবে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক যুব মোর্চার জেলা সভাপতি বিমলেস তেওয়ারি বলছেন, “উনি আগে কংগ্রেস করতেন। পরে তৃণমূলে। মাঝে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি করেছিলেন কিছুদিন। কিন্তু আর বিজেপিতে নেই। এই ধরনের লোকেদের বিজেপিতে কোনও জায়গা হয় না। আমাদের প্রশ্ন কীভাবে ওনারা এ ধরনের কাজ করতে পারেন? আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা সিন্ডিকেট আছে। যাঁদের কাজই চুরি করা।”