স্বাধীনতা দিবসের হাতে বাকি আর মাত্র ৪ দিন। তার আগে ফের প্রকাশ্যে লালকেল্লার নিরাপত্তার গলদ। ফের বোমা-সহ লালকেল্লায় ঢুকে পড়ল এক ডামি জঙ্গি। আশ্চর্যের বিষয়, নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি সত্ত্বেও কারও নজরে পড়ল না সেই ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ১৫ আগস্ট যেখানে প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের সমস্ত ভিভিআইপিরা উপস্থিত হবেন সেই স্থান কতখানি নিরাপদ।
আরও পড়ুনঃ নেমপ্লেট বাংলায় করলেন গৌতম দেব! মহলয়ার মধ্যেই সাইনবোর্ড করতে হবে বাংলায়, নির্দেশ শিলিগুড়ি পুরসভার
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিভিআইপি চত্বর লালকেল্লার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মক ড্রিলের আয়োজন করেছিল নিরাপত্তা বিভাগ। তারই অংশ হিসেবে সাদা পোশাকে ডামি জঙ্গিদের প্রবেশ করানোর কথা ছিল লালকেল্লায়। ছিল নকল বোমার ব্যবস্থা। লালকেল্লার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বোকা বানিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় নকল ‘জঙ্গি’দের দল। শুধু তাই নয়, দ্বিস্তরীয় মেটাল ডিটেক্টরকে টপকে বোমা-সহ ঢুকে পড়ে জঙ্গির বেশে থাকা সাদা পোশাকের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। এমনকী ভেতরে ঢোকার আগে সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন ওই ডামি জঙ্গি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “লালকেল্লার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাগাতার মক ড্রিল চলছে। এটা সেই মক ড্রিলেরই একটি অংশ। নিরাপত্তায় যাতে কোনও রকম গলদ না থাকে তা নিশ্চিত করা পর্যন্ত এই মকড্রিল জারি থাকবে। গলদ থাকলেও এর আগে আমরা একাধিকবার সফল হয়েছে। বহুবার মকড্রিলে ডামি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৫টি মক ড্রিল হয়েছে এখানে।” যদিও এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এই মকড্রিলের সময় এর আগেও পুলিশকে বোকা বানিয়ে লালকেল্লায় ঢুকতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা। এই নিয়ে ৩ বার প্রকাশ্যে এসেছে নিরাপত্তার গলদ।
আরও পড়ুনঃ নির্দেশের বিরোধিতা করলে কড়া ব্যবস্থা, সব পথকুকুরকে লোকালয় থেকে সরানোর নির্দেশ
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট এই লালকেল্লার মঞ্চ থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সারা দেশের ভিভিআইপিদের সমাগম ঘটে এই জায়গায়। ফলে এই স্থানের নিরাপত্তার কড়াকড়ি যে কতখানি তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একাধিক স্তরে নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয় লালকেল্লা চত্বরে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এতটাই হয় যে কোনও সন্দেহভাজন ক্ষুদ্র ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না, অস্ত্র তো দূরের কথা। সেখানেই বোমা নিয়ে সাজানো জঙ্গির প্রবেশের ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এ আসলে ‘বজ্র আটুনি ফস্কা গেরো’।