‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যুতে তোলপাড়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মিছিলের আগে দেহ হাইজ্যাকের চেষ্টা পুলিশের। মুকুন্দপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের দাবি অস্বীকার DC ইস্টের। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের সুবল সোরেনের মৃত্যু ঘিরে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রভাতফেরীর মধ্যেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড! হাসপাতালে ভর্তি ৩০ ছাত্র-শিক্ষক
চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা প্রথমেই জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করবেন। সেই প্রতিবাদ মিছিলে সামনেই রয়েছেন সুবলের সহযোদ্ধারা। মাথায় কালো কাপড় বেঁধে ই এম বাইপাসে মানববন্ধন করে মিছিল করছেন তাঁরা। কার্যত সুবলের দেহ আগলে তাঁরা নিয়ে যাচ্ছেন।
এক আন্দোলনকারীর বক্তব্য, “পরিবারের লোককে না জানিয়ে দেহ হাইজ্যাক করে পুলিশ অন্য গাড়িতে চাপিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। যোগ্য শিক্ষকরা গিয়ে আটকাতে পেরেছেন। আমরা যদি আগলে নিয়ে না যাই, তাহলে আমরা আদৌ এটা জানি না, ওনার দেহ পরিবারের কাছে পৌঁছবে কিনা।” তবে একদিকে যখন মানববন্ধন হচ্ছে, তখন অন্যদিকে, পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন যোগ্য চাকরিহারারা। পুলিশের দাবি, মিছিল তাঁরা করতেই পারেন, কিন্তু রাস্তা আটকে নয়। রাস্তার এক ধার দিয়ে গাড়ি যেতে দিতে হবে। আরেক আন্দোলনকারী বলেন, “যে কোনও সময়ে আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এরকম মানসিক অবস্থা নিয়ে পরীক্ষা দেওযা যায়।” আরেক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা এর শেষ দেখে যাব। দেহ নিয়ে রাজনীতি আমরা করতে পারব না।”
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন শিক্ষক
যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক। অভিযোগ, চাকরি হারানোর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুবল সোরেন। তিনি ওষুধ খেতেন। কিন্তু সেই ওষুধও অনিয়মিত খেতেন। মাথায় প্রবল রক্তক্ষরণ হয়, আর তার জেরেই মৃত্যু হয় সুবলের। অন্তত প্রাথমিকভাবে তেমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।