Tuesday, 19 August, 2025
19 August, 25
Homeউত্তরবঙ্গDhupguri: শোকের ছায়া ধূপগুড়িতে; স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু কিশোরের

Dhupguri: শোকের ছায়া ধূপগুড়িতে; স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু কিশোরের

নদীতে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ জলের স্রোতের মধ্যে পড়ে যায় তারা।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ

ধূপগুড়িতে শোকের ছায়া। শনিবার দুপুরে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে কলেজপাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুববাড়ি এলাকার গিলান্ডি নদীতে। জানা গিয়েছে, স্নান করতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। মৃতের নাম রোহিত রায় (১৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিত তার আরও ছয় বন্ধুর সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নামে। এদের মধ্যে রোহিত, প্রীতম রায়, রুপম রায় এই তিনজন মল্লিকপাড়া মধ্য বোড়াগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। আর দীপ রায়, বিশ্বজিৎ রায় ও সমর রায় কলেজপাড়া লাল স্কুল এলাকার বাসিন্দা। নদীতে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ জলের স্রোতের মধ্যে পড়ে যায় তারা। বন্ধুরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুনঃ ‘বলুন বাঙালির কাছে ক্ষমা চাইলাম…’; এই ভাবে এক অবাঙালিকে ক্ষমা চাওয়াতে দেখা গেল বাংলাপক্ষকে

সেই সময় নদীর ধারে পাঠ ধোয়ার কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা লঙ্কেশ্বর রায়। তিনিই প্রথম কিশোরকে জলে তলিয়ে যেতে দেখে চিৎকার করেন। আশেপাশের মানুষজনকে খবর দেন। মুহূর্তের মধ্যে গ্রামবাসী ভিড় জমালেও রোহিতকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসেন লেপচা, ধূপগুড়ি থানার আইসি আনন্দ ভট্টাচার্য, দমকল কর্মী ও বিশাল পুলিশবাহিনী। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও তল্লাশি অভিযানে নামে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে নদীতে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে উদ্ধার হয় কিশোরের দেহ। এরপর মৃতদেহ ধূপগুড়ি মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তবে মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয় পরিজন ও গ্রামবাসীরা। অভিযোগ ওঠে, খবর দেওয়া সত্ত্বেও দেরিতে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে হয়ত রোহিতকে বাঁচানো সম্ভব হত। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত রায় বলেন, “সময়মতো দল আসলে ছেলেটাকে হয়তো বাঁচানো যেত। দেরিতে আসার জন্যই এমন মর্মান্তিক পরিণতি।” মৃতের আত্মীয় দিনেশ রায়ের অভিযোগ, “আমরা বারবার ফোন করেছি। কিন্তু দল আসতে অনেক দেরি করল। সেই কারণেই আজ আমাদের ছেলে আর ফিরল না।”

আরও পড়ুনঃ খাস কলকাতায় ফের তৃণমূল বনাম তৃণমূল! ছুরি দিয়ে লাগাতার কোপ; বেলেঘাটায় তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা তৃণমূলের

পুলিশ আধিকারিক গেইলসেন লেপচা আশ্বাস দিয়ে জানান, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। দুঃখজনকভাবে ছেলেটিকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়, সেই দিকে নজর দেওয়া হবে।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন