কথায় আছে বন্যরা বনে সুন্দর…। গভীর জঙ্গলে বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বাঘ দেখার শখে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক, তবে সেখানে গিয়ে তাদের যে অভিজ্ঞতা হল, তা সারাজীবন আতঙ্ক হয়ে তাড়া করবে। বাঘে ভরা রণথম্বোরের জাতীয় উদ্যানে একদল পর্যটককে ফেলে রেখে চলে গেল গাইড! ভয়ে-আতঙ্কে তখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা পর্যটকদের।
আরও পড়ুনঃ ‘সত্য কথা বলা একটি পাপ’; কান ধরে ভুল স্বীকার তৃণমূল কাউন্সিলরের
রাজস্থানের রণথম্বোরের জঙ্গল সাফারি বিখ্যাত। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক যান বাঘের দেখা পেতে। সেখানেই একদল পর্যটককে জাতীয় উদ্যানের জ়োন-৬ এ ফেলে আসার অভিযোগ উঠল গাইডের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ জঙ্গলের মধ্যে সাফারির গাড়িটি খারাপ হয়ে যায়। গাড়িতে শিশু ও মহিলারাও ছিলেন। গাইড জানান তিনি অন্য একটি গাড়ি নিয়ে আসছেন। গাড়িতে থাক পর্যটকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর পর্যটকদের ওই গভীর জঙ্গলেই রেখে চলে আসেন।
আরও পড়ুনঃ রণক্ষেত্র খানাকুল! তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ধুন্ধুমার
এদিকে, পর্যটকরা অন্ধকারের মধ্যে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বসে থাকেন। জঙ্গলে কমপক্ষে ৬০টি বাঘ রয়েছে। আছে চিতাবাঘ, কুমির, বুনো শুয়োরের মতো একাধিক হিংস্র পশু। যেকোনও মুহূর্তে পশুর হামলা হতে পারে, এই আতঙ্কে কান্নাকাটিও শুরু করেন অনেকে।
সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা অবধি, অর্থাৎ ৯০ মিনিট জঙ্গলে আটকে থাকার পর তাদের শেষপর্যন্ত উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। রণথম্বোর টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর অনুপ কে আর বলেন যে পার্কে আগত পর্যটকদের সুরক্ষাই তাদের প্রধান কর্তব্য। যে গাইড বা ড্রাইভার এই কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।