সমিক সান্যাল, কলকাতাঃ
শতবর্ষে কবি সুকান্ত ভটাচার্য, তাকে কি শুধু মাত্র কিশোর কবি বলা চলে? তিনি আসলে এক অশান্ত সময়ের কবি, যিনি সময়ের চাইতে অনেকে বেশি প্রাজ্ঞ ছিলেন। তার রাজনৈতিক বোধ, শ্রেনী চেতনা, সাম্য বাদী সমাজ গঠনের কথা সব টাই আমরা তার কবিতায় উঠে আসতে দেখি। যে রানার কবিতা তিনি লিখেছিলেন তাতো আজও বাস্তব, চিঠির বদলে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে আজকের রানার, কজন জানি তাদের কথা? ১৮ বছর বয়স আজও কি সত্যি নয়? অন্যায়, অবিচারে আজও ১৮ বছর প্রতিবাদ, প্রতিরোধে থাকে, একটি দেশলাই কাঠির আজও শক্তি আছে তার বারুদ কে দিয়ে রাষ্ট্র শক্তি কে সঠিক পথে নিয়ে আসার, দেশলাই কাঠি এইখানে রূপক আসলে জনগণের ইচ্ছা শক্তির কথাই বলেছেন কবি।
আরও পড়ুনঃ “বন্যরা বনে সুন্দর…”, বাঘ দেখার শখে একদল পর্যটক; পর্যটকদের ফেলে রেখে চলে গেল গাইড!
কিশোর কবির তকমা নয় তিনি পুরোদস্তুর রাজনৈতিক কবি , যার কবিতা আজও প্রেরণা যোগায়। আবার তিনি ফ্যাসিবাদ এর বিরুদ্ধে, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে। খেটে খাওয়া মানুষের কথা তার কবিতায় উপস্থিত। তিনি ছিলেন সাম্য বাদে বিশ্বাসী। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ছিলেন, কিশোর বাহিনীর কর্মী ছিলেন, একাধিক ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংকলন এর তিনি সম্পাদক ছিলেন। শত্রু কে উদ্দ্যেশ্য করে তিনিই লিখেছেন ” আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্বশানে তোদের চিতা আমি তুলবই “।
আরও পড়ুনঃ ‘সত্য কথা বলা একটি পাপ’; কান ধরে ভুল স্বীকার তৃণমূল কাউন্সিলরের
তিনি জীবনের জয়গান লিখে গেছেন, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের কথা লিখে গেছেন যা আজও মানুষ কে প্রেরণা দেয়। একটি মোরগের কাহিনী আজও বাস্তব, যারা আজ ভালো চাকরি করছেন, তারাও নিশ্চিত নন কবে চাকরি চলে যাবে। তার লেখা একাধিক কাব্য গ্রন্থ আছে যা লেখা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে এর সময়কালে, তাই তার কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের কথা উঠে এসেছে। অমরত্বের লোভ তার ছিলো না তাই লিখছিলেন ” নেই অমরত্বের লোভ, আজ রেখে যাই আজকের বিক্ষোভ”। সময়ের কবি হিসাবে আজও তিনি প্রাসঙ্গিক।