কলকাতার রাস্তায় ফের চাকরি আন্দোলনের উত্তাপ। পথে নামলেন ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণরা । তাঁদের মূল দাবি একটাই, শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ। এদিন করুণাময়ী থেকে মিছিল শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে তাঁদের মিছিল শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় পুলিশি ধরপাকড়। তবে সেই বাধা কাটিয়ে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুনঃ মা’কে খেতে দেবে তাও সমস্যা! মেরে মায়ের মুখ ফাটিয়ে দিল গুণধর ছেলে
পর্ষদ অভিযান করার উদ্দেশে মঙ্গলবার পথে নেমেছেন তাঁরা। তবে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল কিছুদূর এগোতেই ফের পুলিশের বাধা আসে। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়ে পুলিশের। বেশ কয়েকজনকে চ্যাংদোলা করে সরিয়েও নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অনেককে আটক করে প্রিজন ভ্যানেও তোলে পুলিশ। সব মিলিয়ে নিয়োগের দাবিতে আবার উত্তাল শহর কলকাতা।
এদিন মেট্রো থেকে নামার পরই চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল শুরু হয়েছিল। তাঁদের গন্তব্য ছিল পর্ষদ ভবন। কিন্তু শুরু থেকেই তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল শুরুর আগেই তাঁদের জোর করে ভ্যানে তুলতে শুরু করে পুলিশ। পরবর্তী সময় আরও উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ও অনেক চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে ঘুঘুর বাসা, দালালরাজের রমরমা; প্রশ্নের মুখে শিলিগুড়ি পুরনিগম
আন্দোলনকারীদের দাবি, বছরের পর বছর ধরে তারা শুধু অপেক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। নিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিললেও কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। চাকরিপ্রার্থীদের এই পরিপ্রেক্ষিতে একটাই দাবি, অন্ততপক্ষে তাঁদের ইন্টারভিউয়ের নোটিসটা জারি করা হোক। ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী খালি হাতে বসে রয়েছে।
এদিনের মিছিলে অনেককে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা মুখোশ পরে থাকতেও দেখা যায়। তাঁদের বক্তব্য, টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করার গুরুদায়িত্ব তাঁরই ওপরই বর্তায়। সেই কারণে তাঁকে সরাসরি বার্তা দিতেই এমন মুখোশ ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশি ধরপাকড়ের ফলে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন।