কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
আলোড়ন জলপাইগুড়িতে। না, কোনও রাজনৈতিক উত্তাপ নয়। বরং এক বস্তু নিয়ে কৌতূহল বা বলা চলে আতঙ্ক! কারণ সেখানে পাওয়া গেছে ডাইনোসরের ডিম! এ যেন ঠিক বাস্তবের জুরাসিক পার্ক।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরবাসীর ভিড় জমছে স্থানীয় মিউজিয়ামে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ডিমটি প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগেকার ‘টাইটানোসরাস’ প্রজাতির ডাইনোসরের।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক ফিউশন সিএক্স-এর
ডিমটি রাখা হয়েছে জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের নয়াবস্তির মিউজিয়ামে। প্রতি রবিবার সন্ধেয় সেখানে ঢল নামে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকদের।
ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ভূবিজ্ঞানী প্রদীপ সেনগুপ্ত একসময় নর্মদা নদীর তীরে খননকার্য চালানোর সময় ডাইনোসরের আস্তানা খুঁজে পান। সেখান থেকেই মিলেছিল একাধিক ডিম। বহু হাত ঘুরে তারই একটি এসে পৌঁছেছে জলপাইগুড়িতে। তবে শুধু ডিম নয়, এই মিউজিয়ামে রয়েছে ডাইনোসরের হাড়গোড়ও। সঙ্গে আছে লুপ্তপ্রায় চ্যাগা মাছ ও নটিলাস শামুক।
চ্যাগা মাছ একসময় উত্তরবঙ্গের তিস্তা আর করলা নদীতে মিলত। আকারে বড় এবং মৃতদেহ খেয়ে ফেলার অভ্যাসের জন্য স্থানীয়রা একে ডাকত ‘রাক্ষুসে’ বা ‘ভূতুড়ে’ মাছ।
আরও পড়ুনঃ সেজে উঠেছে গোটা তারাপীঠ; কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম
নটিলাস শামুক, যাকে বলা হয় জীবন্ত জীবাশ্ম, এসেছে কন্যাকুমারী থেকে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, এদের সমসাময়িক প্রজাতি বহু আগেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলেও এরা এখনও অল্প সংখ্যায় বেঁচে আছে। গ্রীসে আবার এদের বলা হয় ‘জ্ঞানের প্রদীপ’।
জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের মূল লক্ষ্য, পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে লুপ্তপ্রায় প্রাণী ও জীবাশ্ম সংগ্রহের চেষ্টা এবং সংরক্ষণ।