Saturday, 13 September, 2025
13 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
HomeকলকাতাEast-West Metro: সিপিএমের দাবি ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো হল বাম সরকারের সাফল্য

East-West Metro: সিপিএমের দাবি ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো হল বাম সরকারের সাফল্য

২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরেই এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো করিডরকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সিপিএম তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছে, এই ৪,৮৭৪.৫৮ কোটি টাকার প্রকল্প আসলে বামফ্রন্ট সরকারের ভাবনা ও কৃতিত্বের ফল। পোস্টে লেখা হয়েছে, “২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরেই এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি, সাংসদ মহম্মদ সেলিম, তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী, সাংসদ সুধাংশু শীল, অমিতাভ নন্দী-সহ একাধিক নেতা”।

শুক্রবার এই মেট্রো রুটের একটা বড় অংশের উদ্বোধন হবে। হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল। তার আগে কুণাল ঘোষের মতো তৃণমূল নেতারা যখন এ ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেছেন, তেমনই কেন্দ্রের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দাবি, কেন্দ্র অর্থ না দিলে এই প্রকল্প দিনের আলো দেখত না। রাজ্যই ঢিলেমি করেছে। এরই মধ্যে আবার কৃতিত্ব নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন একদা মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দাবি, তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করে কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুনঃ বেসরকারিকরণের পথে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের শিলিগুড়ি ডিভিশন? 

প্রশ্ন হল, সত্যিই এর ক্রেডিট কার? 
অনেকে বলেন, ব্রিটিশ জমানায় প্রথম ইস্ট-ওয়েস্ট ট্রেনের কথা ভাবা হয়েছিল। তখন ইমপেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল স্থির করেছিল গঙ্গার নিচ দিয়ে ট্রেন যাবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। একদিকে বাগমারিতে স্টেশন থাকবে অন্যদিকে স্টেশন থাকবে হাওড়ার সালকিয়ার বেনারস রোডে। তার জন্য খরচ হবে ৩৫ লক্ষ পাউন্ড। আর ভাড়া নেওয়া হবে ৩ আনা। তবে সেটা ভাবনাতেই থেকে যায়।

২০০১ সালের ভোটে বিপুল ব্যবধানে জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের জন্য উদ্যোগ নেন। জাপান সফর করার পর তিনি কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেন জেবিআইসি (JBIC) থেকে আর্থিক ঋণ নিয়ে এই প্রকল্প করতে দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে সবিস্তার রিপোর্ট তৈরি হয় বাজপেয়ী জমানায়। তখন বিষয়টি ছিল নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে। মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পিকে প্রধান এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তার পর প্রকল্প ছাড়পত্র পায় ইউপিএ জমানায়। তা ছাড়া তখন কেন্দ্রের সরকারের উপর বামেদের জোরও ছিল। কারণ, ৬০ জন সাংসদ নিয়ে ইউপিএ-র সমর্থক দল ছিল তারা।  সেই কারণে এর শিল্যানাসের সময়ে কলকাতায় এসেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ সেজে উঠেছে গোটা তারাপীঠ; কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম

তবে এর পরেও একটা মোড় রয়েছে। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের পর দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝতে পারেন, যে মডেলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তৈরির কথা চলছে তাতে ত্রিশ বছরেও তা আলো দেখবে না। কারণ, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে সেই রেল পথ তৈরির কথা ছিল। অথচ রাজ্যের কোষাগারে সেই জোর ছিল না। তা ছাড়া মমতা রেলমন্ত্রী থাকায় এর কৃতিত্বও হয়তো নিতে চান। তাই নগরোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে এই প্রকল্পকে তিনি নিয়ে আসেন রেলমন্ত্রকের অধীনে। অনেকের মতে, তাতে লাভের লাভ হয় বাংলারই। কারণ, এর আর্থিক দায় পুরোটাই নেয় রেল। রাজ্যের কোষাগারের উপর চাপ এরজন্য পড়েনি। তা ছাড়া রেলের অধীনে থাকায় এর ভাড়াও দিল্লি বা বেঙ্গালুরু মেট্রোর তুলনায় কম।

তবে ইউপিএ জমানায় এই মেট্রোর কাজ ২৫ শতাংশও এগোয়নি। বরং সিংহভাগ কাজ হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর জমানাতেই। এই মেট্রো রুটের একটা অংশের উদ্বোধন আগেই হয়েছে। বাকিটা শুক্রবার হবে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন