প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে কলকাতা মেট্রো পেয়েছে আরও তিনটে নতুন রুট। শুক্রবার জাঁকজমকভাবে উদ্বোধনপর্ব মিটেছে। তবে নতুন মেট্রো রুটের ‘কৃতিত্ব কার?’ এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা গেছে। এবার এই ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মনমোহন সিং দয়া করে দু’বছরের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেলের মন্ত্রী করেছিল। এই দু’বছরের মধ্যেই সব করে নিল?’ তাঁর অভিযোগ, ‘ নরেন্দ্র মোদী যেটা আজ করার সুযোগ পেল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংকীর্ণ রাজনীতি না করে বামেদের রেল প্রকল্প করার সুযোগ দিলে, তা অনেক আগেই হয়ে যেত।’ প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের কটাক্ষ, ‘বাংলায় রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সবথেকে বড় বাধার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি দুর্ভাগ্যবশত রেলমন্ত্রী ছিলেন।’
অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘দিল্লিতে গিয়ে দেখে আসুন, মেট্রো রেল কাকে বলে। পুণে, রাজস্থানে নতুন নতুন মেট্রো প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে সবকিছু ছিল, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রেলের দফারফা করে দিয়েছেন।’
তিনটি মেট্রো রুটের উদ্বোধনের দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘নস্ট্যালজিক’ পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে মহানগরের বিভিন্ন প্রান্ত- জোকা, গড়িয়া, এয়ারপোর্ট, সেক্টর ফাইভকে জুড়ে একটি ইনট্রা-সিটি মেট্রো গ্রিডের নকশা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী একাধিক করিডর পরিকল্পনা ও মঞ্জুরি, তহবিল জোগান এবং কাজের সূচনাও করেছিলাম।’ এনিয়ে অধীর চৌধুরী কটাক্ষ, ‘নরেন্দ্র মোদী এখন মেট্রোর উদ্বোধন করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর হিংসে হচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ লাগাতার বৃষ্টি, বৃষ্টির মধ্যেই চুপিচুপি চলছিল কাজ, পুলিশ দেখেই ট্রাক্টর ফেলে চম্পট
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘বাম আমলে রেল, আরবান অ্যাফেয়ার্স এবং জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘জাইকা’র সহযোগিতায় নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কারণেই তা সম্ভব হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ, ‘কংগ্রেসের আমলে হওয়া প্রকল্পগুলি প্যাকেজিং করে নিজের নামে বিক্রি করছেন মোদীজি।’