Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeউত্তরবঙ্গSiliguri: কলেজপাড়ায় পাইপ ফাটিয়ে তাপ্পি, ক্ষুব্ধ পুরনিগম

Siliguri: কলেজপাড়ায় পাইপ ফাটিয়ে তাপ্পি, ক্ষুব্ধ পুরনিগম

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে জলের পাইপলাইন মেরামত করতে হয় শিলিগুড়ি পুরনিগমকে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ

নিজস্ব পরিকাঠামো নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে জলের পাইপলাইন মেরামত করতে হয় শিলিগুড়ি পুরনিগমকে। এদিকে, দিনে প্রায় চার থেকে পাঁচ জায়গায় সারাই করতে ছুটতে হয় কর্মীদের। ভূগর্ভস্থ কেবল পাততে গিয়ে ফেটে যাওয়া পাইপলাইন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদেরই মেরামত করে দেওয়ার কথা। অভিযোগ, তাঁরা কোনওরকমে ফাটা জায়গাটি আটকে দিচ্ছেন মাটি চাপা দিয়ে। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি জানানো হচ্ছে না পুরনিগমকে।

তাপ্পি কি আর খুব বেশিক্ষণ জলের চাপ সইতে পারে? ফলে যা হওয়ার, হচ্ছে তাই। তাপ্পি খুলে ফাটা পাইপ দিয়ে জল বেরোচ্ছে অনর্গল। এতে যেমন শহরজুড়ে পানীয় জল পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটে, তেমন বেকায়দায় পড়তে হয় পুরনিগমের পানীয় জল সরবরাহ বিভাগকে। ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর গাফিলতির কারণে শহরবাসীর সমালোচনার মুখে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনাধীন বর্তমান পুর বোর্ড। এই কারণে বেজায় চটেছেন পদাধিকারীরা। পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্তর কথায়, ‘রোজ ফাটা পাইপ মেরামত করতে গিয়ে আমরা অন্য কাজে লোক পাঠাতে পারছি না। এমনিতেই চাহিদার তুলনায় কম পানীয় জল মেলে। তার ওপর এমন সমস্যা হলে তো আমাদের কথা শুনতে হয়।’ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল, সেই বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রিজিওনাল ম্যানেজার বিদীপরঞ্জন বর্মনের সাফাই, ‘আমি পুরনিগমের সঙ্গে কথা বলে তবেই এব্যাপারে কিছু বলতে পারব। কোথায় অসুবিধে হচ্ছে, সেটা আগে আমাকে অফিসে গিয়ে জানতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ বিধবা মহিলার কাছ থেকে তোলা দাবি, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

পুরনিগম এলাকায় মাটির তলায় বিদ্যুতের কেবল পাতছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ওই কাজ করতে গিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ির সময় যদি পানীয় জলের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সেটা মেরামত করবে। বড়ধরনের সমস্যা হলে তবেই পুরনিগমকে জানাবে তারা। অভিযোগ, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি পুরনিগমকে কিছুই জানাচ্ছে না। কাজ করতে গিয়ে একাধিক এলাকায় পানীয় জলের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারপর মেরামতির নামে প্লাস্টিক কিংবা দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। এরপর যখন ওই পাইপলাইন দিয়ে পানীয় জল সরবরাহ হয়, তখন চাপ লেগে বাঁধন খুলে বেরিয়ে আসে জল। কোথাও কোথাও তো রীতিমতো ফোয়ারার মতো জল বেরিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে পথচারীদের।

আরও পড়ুনঃ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সহবাস আটকাতে পারে আইন?

শুক্রবার ঠিক যেমনটা হয়েছে কলেজপাড়ায়। খবর পেয়ে পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের তরফে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপর সারানো হয় পাইপলাইনটি। এর আগে হিলকার্ট রোডে একই দিনে ছয় জায়গায় পাইপ ফেটে জল বের হতে দেখা গিয়েছে। বাড়তি কর্মী নামিয়ে কাজ করাতে হয়েছিল সেসময়। পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছিল। এধরনের ঘটনা ঘটছে আকছার।

দপ্তরের আধিকারিকরা ক্ষুব্ধ। একেই চাহিদার তুলনায় কম জল পাওয়া যাচ্ছে, তার দোসর হয়েছে পাইপ ফেটে যাওয়া। এভাবে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া মুশকিল হচ্ছে, দাবি বাস্তুকারদের।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন