মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে বড়ঞা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছিল আগেই। সেই মামলায় সিবিআই তাঁকে দেড় বছর আগে গ্রেফতারও করেছিল। এবার তাঁর নামে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন’ ও হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি-র অভিযোগে নতুন করে চাপে পড়লেন তিনি। জানা গিয়েছে আজই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হতে পারে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ ‘গৃহবন্দি’ ধনখড়! মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার সকালে আন্দিতে জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে ইডির দল হানা দিলে ফের নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, ইডির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন তিনি। এমনকি প্রমাণ গোপনের জন্য আবারও মোবাইল ফোন নর্দমায় ফেলে দেন। পরে সেটি উদ্ধার করে ইডি। এর আগেও ২০২৩ সালে সিবিআইয়ের তল্লাশির সময়ে তিনি নিজের ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। এবার ইডি নর্দমা থেকে তাঁর ফোন উদ্ধার করলেও অভিযোগ হল, পাসওয়ার্ড দিতে চাইছেন না জীবনকৃষ্ণ।
শুধু আন্দির গ্রামেই নয়, সোমবার ইডি তল্লাশি চালিয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় জীবনকৃষ্ণর পিসি তথা কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে এবং মহিষ গ্রামে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতেও।
আরও পড়ুনঃ খরচের হিসেব না দিলেও পুজো কমিটিকে অনুদান কেন? রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট
তদন্তকারীদের দাবি, জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য উদ্ধার হয়েছিল, তাতে টাকা ফেরতের প্রসঙ্গ স্পষ্ট রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত প্রমাণের সঙ্গে টগরি সাহার সম্পত্তির তথ্য মিলিয়ে দেখছে ইডি। আপাতত তাঁকে কলকাতায় এনে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে।