কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
আর মাত্র কটা দিন। তারপরই আলোয়ে ভোরে যাবে বাংলার প্রত্যেকটি অঞ্চল, প্রত্যেকটি রাস্তা। মানুষের ঢল নামবে রাস্তায়। আবারো শুরু হবে ‘প্যান্ডেল হপিং’। কারণ একটাই। ‘বলো দুগ্গা মাই কি জয়’…… এই কন্ঠ ভেসে আসবে চারিদিক থেকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে। ইতিমধ্যেই আসন্ন পুজোকে ঘিরে পুজোপ্রেমীদের আগ্রহ পৌঁছে গেছে অন্য মাত্রায়। এক মাস রয়েছে বাকি। এখন থেকেই শুরু হয়েছে জোরকদমে শপিং করা।
আরও পড়ুনঃ ৯ হাজারি শাড়ি, বেশ কিছু গয়না কিনলেন মুখ্যমন্ত্রী, আপ্লুত বর্ধমানের শিল্পীরা
তবে পুজোয়ে পুজোপ্রেমীরা শুধু ‘প্যান্ডেল হপিং’ নয়, করেন ‘পেট পুজো’ও। বাঙালি আর ‘পেট পুজো’ দুটো যেন এক ‘ইটার্নাল লাভ স্টোরি’, যা প্রতিনিয়ত পড়ে চোখে। সেই কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়েছেন সুমন্ত কুন্ডু। লক্ষ্য একটাই নিজের ‘পুরোনো দাদাভাই হোটেল’কে শীর্ষে নিয়ে যাওয়া। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, মানুষের মনে পৌঁছে দেওয়া। এই হোটেলটি অবস্থিত শিলিগুড়িতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হোটেলটি হয়ে উঠেছে সকলের প্রিয়। বলা ভালো, বর্তমানে রাজ করছেন শিলিগুড়িবাসীর একাংশের মনে। ৮ থেকে ৮০, সকলের মুখেই শোনা যায় ‘দাদাভাই হোটেল’এর প্রশংসা।
আরও পড়ুনঃ বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে ভূমিধসে মৃত কমপক্ষে ৩০, বাড়ছে আতঙ্ক
কি প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে সুমন্ত বাবু বলেন, “এখানে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমাদের লক্ষ্য একটাই আর সেটা হল মানুষ যেন এখানে খেতে আসেন। অবশ্যই ভালো এবং সুস্বাদু খাবার দিতে হবে। তবেই মানুষ এখানে বারবার আসেন। আমি আমার নিয়মে চলি। রান্নাঘরকে পুরোপুরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। কারণ মানুষ যদি আমার হোটেলে এসে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। আমি এভাবেই চলতে চাই। তাহলেই মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পাবো।”


                                    
