ছুটি কাটিয়ে সবে স্কুলে ফিরেছিল পড়ুয়া। বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজবে মেতেছিল। এমন সময়ই হাতে বন্দুক নিয়ে ঢুকলেন একজন। আর নিমেষে ওলট-পালট হয়ে গেল সবকিছু। আমেরিকার স্কুলে ফের বন্দুকবাজের হামলা। বুধবার মিনিয়াপোলিসের দক্ষিণ প্রান্তে একটি ক্যাথলিক স্কুলে একটানা গুলিবর্ষণ করে বন্দুকধারী। কমপক্ষে ২ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। আহত আরও ১৭ থেকে ২০ জন। হামলাকারী নিজেকেই হত্যা করেছে।
২৭ অগস্ট আমেরিকার মিনিয়াপোলিসের অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক স্কুলে গুলি চলে। ওই প্রাথমিক স্কুলে সেই সময় প্রায় ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। স্কুলটি অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে যুক্ত। রিচফিল্ডের পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থলে কালো পোশাক পরা এক ব্যক্তি রাইফেল হাতে উপস্থিত ছিল। সম্ভবত সে-ই হামলাকারী।
আরও পড়ুনঃ একটি ক্লাব ‘নিখোঁজ’, পুজো অনুদান নিয়ে হাই কোর্টের কোপে পড়া শিলিগুড়ির তিন ক্লাবের অবস্থা
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন গুলিবর্ষণ শুরু হয়, তখন শিশুরা সকালের প্রার্থনা করছিল। তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পর বন্দুকবাজ নিজে চার্চের পিছনে গিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত ওই আততায়ীর নাম রবিন ওয়েস্টম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কেন তিনি হঠাৎ স্কুলে শিশুদের উপরে গুলি চালালেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হামলাকারী রবিনের কাছে একটি রাইফেল, একটি শটগান ও একটি পিস্তল ছিল। পুলিশের অনুমান, রবিন সবকটি বন্দুকই ব্যবহার করেছিল পড়ুয়াদের উপরে গুলি চালাতে। স্কুলের চার্চের জানালা দিয়ে গুলি চালায় সে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে হাসিনার কামব্যাক! ২৫০০ কোটি টাকা ঢাললেন কে? দাবি BNP-র
হামলার পরই স্কুল ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এদিকে, এখনও আতঙ্কে স্কুল পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
এই হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন যে এফবিআই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউসের তরফে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। হামলায় শোক প্রকাশ করে আজ আমেরিকায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



