বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় নেমে সর্বাত্মক বিরোধিতা করছে তৃণমূল। আর রাজ্য বিজেপি হাঁটছে ঠিক উলটো পথে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করে বিজেপি ‘ভুল’ করছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। এই পদক্ষেপ ‘আত্মঘাতী গোলে’র সমান। এমনটাই মনে করছেন আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নিজেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরএসএস নেতারা কথাও বলেছেন বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, আগামী ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের যোধপুরে বসবে আরএসএসের সমন্বয় বৈঠক। সেই বৈঠকে থাকবেন সরসংঘচালক মোহন ভগবত। সেখানেও বাংলা ভাষা ও বাঙালি শ্রমিকদের ওপর আক্রমণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা ট্রাম ডাইনোসর হয়ে যাবে; অবস্থান স্পষ্ট করল সরকার
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলায় কথা বলার জন্য হেনস্তার ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে যা ঘটছে, তাতে সংঘ নেতৃত্ব উদ্বিগ্ন। এই নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কথা বলার জন্য কোনও বৈধ ভারতীয় নাগরিককে শত্রু মনে করা উচিত নয়। এর ফলে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুবিধা হচ্ছে বলে বলেও মনে করছে সংঘ।
আরও পড়ুনঃ ১২ বছরের ছেলেটাকে টেনে নিয়ে গেল বাড়ির সামনে থেকে, মৃতদেহ উদ্ধার কিছু দূর থেকে উদ্ধার
সংঘ নেতাদের মতে, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বৈধ নাগরিকদের ওপর আক্রমণ শানানো হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে। বিষয়টি আরও গভীরে গিয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বকে সংঘ নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আবার, এ বছরের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজস্থানের যোধপুরে। বৈঠক চলবে ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারণ গত কয়েক বছরে বাংলায় শাখা বিস্তার করেছে সংঘ। এই ঘটনা শাখা বিস্তারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আগেভাগেই বিজেপি নেতৃত্বকে সতর্ক করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


                                    
