আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে এবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বাড়ি ছাড়াও তাঁর নার্সিংহোমেও হানা দিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ চলেছিল তল্লাশি। সূত্রের খবর, এবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অতীনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই।
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই সিবিআইয়ের একটি টিম কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়রের বাড়িতে চলে যায়। তবে অতীন ঘোষ বাড়িতে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে সিবিআই প্রাথমিকভাবে কথা বলে জানা যাটচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চলছে নানা জল্পনা! আজ বেলা তিনটে নাগাদ সর্বদল বৈঠক ডাকল কমিশন
এদিকে আগে আরজিকরে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সুদীপ্ত। একইরকমভাবে অতীন ঘোষও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। একইসঙ্গে বেলগাছিয়া পূর্বের বিধায়ক। এই আরজি কর মেডিকেল কলেজ তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে। তাই বিধায়ক হিসাবে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন অতীন, এখন তো চেয়ারপার্সনও বটে। এখন অতীনের থেকে সিবিআই কোনও নতুন তথ্য পায় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুনঃ ভাঙল সেতু, ডুবে গেল হনুমান মন্দির, রুদ্রপ্রয়াগ ও চামোলিতে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়
তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ যদিও তোপ দাগছেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। তোপ দাগছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বলছেন, “এই নাটক দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত! সিবিআই এক বছর ধরে তদন্ত করছে। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যা করেছিল সিবিআইয়ের তাতে কোনও নতুন তথ্য দিতে পারেনি। এখন সামনে নির্বাচন তাই এর ওর বাড়িতে যাচ্ছে। খবরে ভেসে থাকতে চাইছে। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে করতে সিবিআইয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারীর সংস্থার এতে গ্রহণযোগ্যতা কোথায় নেমে যাচ্ছে দেখাই যাচ্ছে। আদালত তো দুদিন আগে বলেছে সিবিআই মানে এখন গ্যালারি শো। দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছে সিবিআই মানে বিজেপির হয়ে কাজ করা একটা সংস্থা।”


                                    
