বাংলায় যেন SIR-এর জন্যই ‘বরণডালা’ সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বছর ঘুরলেই ভোট। আর তার আগে ভোটার সমীক্ষায় জোর দিচ্ছে কমিশন। গত ২৭ অগস্ট রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরবাল রাজ্যের সকল জেলা শাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান। তাতে সাফ বলা হয়, দ্রুত AERO ও ERO নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কারণ, এনার প্রত্য়েকেই ভোট প্রস্তুতি ও ভোটার সমীক্ষার সঙ্গে নিবিড় ভাবে জড়িত থাকেন।
বলে রাখা ভাল, এই AERO ও ERO-দের নিয়োগের জন্য কোনও চিরাচরিত প্রক্রিয়া চলে না। এনারা প্রত্যেকেই সেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারী বা নির্দিষ্ট ভাবে বললে, WBCS এক্সিকিউটিভ ও অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মচারী। তাদের মধ্য়ে বাছাইয়ের মাধ্যমেই জেলাশাসকরা AERO ও ERO হিসাবে রাজ্যের কাছে নামের তালিকা পাঠায়। তারপর সেই তালিকা পৌঁছে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে।
অর্থাৎ ভোট হোক বা ভোটার সমীক্ষা দুই ক্ষেত্রেই এই সংক্রান্ত পদে কর্মী প্রয়োজন, তা স্পষ্ট। তবে নিযুক্ত হলেই যা ইচ্ছা তাই করা যাবে না, সেই কথাটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক। সেই চিঠিতে নিয়োগ ও প্রস্তুতির পাশাপাশি সাফ জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় ইচ্ছাকৃত গরমিল ধরা পড়লে যে AERO ও ERO-সহ ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ এবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা সিবিআই-এর, সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই নিয়োগ ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্টটি রাজ্যকে শুক্রবার অর্থাৎ আজ বিকাল ৫টার মধ্য়ে জমা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, এই একই দিনে কমিশনের অন্দরে রয়েছে একটি সর্বদলীয় বৈঠক। রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী শিবির, আসবে প্রায় প্রতিটি দলের প্রতিনিধিই। ভোটার সমীক্ষা থেকে ভোট প্রস্তুতি সব নিয়েই হবে আলোচনা।



