Saturday, 13 September, 2025
13 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeদক্ষিণবঙ্গBarasat: উদ্দাম যৌনতা দেখে ফেলেছিল স্বামী, ভয়ঙ্কর পরিণতি প্রেমিকের! স্বামী-স্ত্রীকে শিক্ষা দিল...

Barasat: উদ্দাম যৌনতা দেখে ফেলেছিল স্বামী, ভয়ঙ্কর পরিণতি প্রেমিকের! স্বামী-স্ত্রীকে শিক্ষা দিল আইন

পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘটিয়ে ফেলেছিলেন ভয়ঙ্কর ঘটনা।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে উদ্দাম যৌনতা। স্বামী দেখে ফেলায় ধর্ষণের তত্ত্ব খাঁড়া করে স্বামীর সঙ্গে মিলে প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন! সাত বছর আগের এহেন অপরাধের ঘটনায় গৃহবধূ ও স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল বারাসত আদালত। একহাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অন্যথায় আরাও একবছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনা বছর সাতেক আগেকার। আবদুল হাসান নামে ওই যুবককে খুন করে মুণ্ডু এবং হাঁটুর নিচ থেকে দুই পা কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছিল খালে। সাত বছর আগে মধ্যমগ্রামের রোহন্ডা-চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতের দক্ষিণ যোজরা গ্রামের নারকীয় এই ঘটনায় শুক্রবার দোষী স্বামী জাকির হোসেনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দোষীর স্ত্রীকে আর্জিনা বিবিকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার সরকারি আইনজীবী সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “১৯ জন সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী জাকির হোসেনকে খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্র – এই তিন ধারায় জাকির হোসেনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড-সহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১বছরের কারাদণ্ড হবে। স্ত্রী আর্জিনা বিবিকে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্র এই দুই ধরায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড-সহ ১ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড হবে।”

আরও পড়ুনঃ গ্রুপ সি ও ডি শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এসএসসির

২০১৮ সালে ৬ নভেম্বর স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী প্রেমিক আবদুল হাসানে বাড়িতে ডেকে এনেছিল আর্জিনা। এরপর দু’জন অবাধ যৌনতায় লিপ্ত হয়। তখন হঠাৎই স্বামী জাকির হোসেন বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রেমিকের সঙ্গে যৌনতায় মত্ত আর্জিনা তখন ধরা পড়ার ভয়ে স্ত্রীর আবদুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা। তখনই আবদুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জাকির। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিহতের মুণ্ডু এবং হাঁটুর নিচ থেকে দুই পা কেটে রেখে দেওয়া হয় জাকিরের গোপন আস্তানায়।

আরও পড়ুনঃ সব জায়গায় মন্দির, শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন নেই, বললেন RSS প্রধান

এদিকে, ছেলের খোঁজ না পেয়ে আবদুল হাসানের বাবা আকবর আলি মধ্যমগ্রাম থানায় নিখোঁজের ডায়রি করেন। এরই মধ্যে মধ্যমগ্রামের নোয়াই খাল থেকে পা ও মুণ্ডু কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে আকবর ছেলের দেহ শনাক্ত করলে তদন্ত চালিয়ে জাকির ও আর্জিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে উদ্ধার হয় মৃত আবদুল হাসানের মাথা-সহ দেহাংশ। দীর্ঘ সাত বছর এই মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসত আদালতের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা দায়রা কোর্টের বিচারক দীপালি শ্রীবাস্তব সিনহা। শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হল

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন