অনেক টালবাহানার পর শনিবার রাতে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৮০৬ জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। রয়েছে শাসক দলের অনেক নেতা-নেত্রী বা নেতা-ঘনিষ্ঠদের নাম। তবে এই তালিকার বাইরে কি আর কোনও ‘অযোগ্য’ নেই? সেই প্রশ্নই এবার সামনে আসছে। তাই তালিকা বেরনোর পরও আবারও আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। আইনজীবীর দাবি, এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়। এর বাইরে আরও অনেক অযোগ্য আছে বলে দাবি আইনজীবীদের।
স্কুল সার্ভিস কমিশন এর আগে সুপ্রিম কোর্টে চিহ্নিত অযোগ্যদের হিসেব দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উল্লেখ আছে, ঠিক কতজনকে কী কী অভিযোগে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওএমআর (OMR) জালিয়াতি ও র্যাঙ্ক জাম্প মিলিয়ে নবম-দশমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৯৩ জনকে, একাদশ-দ্বাদশে ৮১০ জনকে চিহ্নিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। শনিবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা মূলত ওএমআর (OMR) জালিয়াতি ও র্যাঙ্ক জাম্পেপর অভিযোগের ভিত্তিতেই তৈরি। তবে এর বাইরেও আরও অনেক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরাও বেআইনি চাকরিপ্রাপক বলে দাবি আইনজীবীদের। অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ থাকে এক বছর, সেই হিসেবে তৃতীয় কাউন্সেলিং থেকে পুরো প্রক্রিয়াটাই বেআইনি। সে ক্ষেত্রে আরও অনেক নাম বাদ পড়া উচিৎ বলে দাবি আইনজীবীদের। শামিমের বক্তব্য, কাদের অতিরিক্ত নিয়োগ করা হল, সেই লিস্টও নেই। তাঁর দাবি, ১১,৬১০ জনের নাম সুপারিশ করেছিল এসএসসি, আর নিয়োগ করা হয়েছে ১২,৯৬৪ জনকে।
আরও পড়ুনঃ ১৮০৪ জনের দাগি তালিকা প্রকাশ শেষ পর্যন্ত, তালিকায় অনেক তৃণমূল নেতা ও ঘনিষ্ঠদের নাম!
এছাড়াও ২০১৬-র ওই নিয়োগে প্যানেলে নাম না থাকা বা সুপারিশ না করা অনেকেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের নামও যাতে প্রায় প্রকাশ করা হয়, সেই দাবি জানাবেন চাকরিহারাদের একাংশ। তবে কমিশন ওই চাকরিহারাদের অযোগ্য তালিকায় ফেলতে নারাজ।



