প্রতিবার চুলে চিরুনি দিলেই হাজারটা চুল পড়ে যাচ্ছে। বালিশে দেখা যাচ্ছে চুল। বাড়ির মেঝেময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে চুল। এই দৃশ্যগুলো চোখে আসা মানেই একটা মানুষ পড়েন গভীর চিন্তায়। চুল পড়ার সমস্যার ফলে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে রাতের ঘুম উড়ে যায়। মাথায় দ্রুত টাক পড়ে পুরুষদের। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের জিনগত কারণে চুল ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৬০ পেরোনোর পর চুল ওঠে, আবার কারও কারও তো যৌবন থেকেই চুলের ঘনত্ব কমতে শুরু করে। যার ফলে লুকও অনেকটা বদলে যায়। আত্মবিশ্বাস কমে যায়। শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও মাথার চুল নিয়ে সচেতন। তবে সময় থাকতে চুলে ঠিকমতো যত্ন নেন না অনেক পুরুষই। কয়েকটি টিপস যদি ছেলেরা মেনে চলেন, তা হলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ভূরিভোজ জমিয়ে দেবে ফুলকপির রোস্ট, জিভে জল আনে আমিষপ্রেমীদেরও
যদি দেখেন চুল পড়ার পরিমাণ বেড়েছে, তা হলে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন আছে বুঝতে হবে। নিম্নে বেশ কিছু টিপস আলোচনা করা হল, যা মানলে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ১৪ দিনে কমাতে পারবেন ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন, ৭ ব্যয়াম আজ থেকেই
- খাদ্যাভ্যাস:পুরুষদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি যখন হয়, সেই সময় চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। আর চুলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। তাই পুরুষদের প্রোটিন এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
 - চুল পরিষ্কার করা:কাজের জন্য আজকাল কমবেশি সকলকেই রোজ রাস্তায় বেরোতে হয়। যার ফলে চুলে ময়লাও জমে বেশি। পুরুষেরা নিয়ম করে শ্যাম্পু করেন না, কেউ কেউ তো ঠিকমতো চুলও আঁচড়ায় না। তবে এই ভুল করা চলবে না। চুল পরিষ্কার করা জরুরি। তার জন্য নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। আর সবচেয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল ভেজা চুলে কখনও চিরুনি দেওয়া ভাল নয়।।
 - স্ক্যাল্পের খেয়াল রাখতে হবে:পুরুষদের স্ক্যাল্প মহিলাদের তুলনায় তৈলাক্ত হয়। ঘামও বেশি হয়। যার জেরে চুলের গোড়া দুর্বল হয়। এবং ধীরে ধীরে চুল পড়া বাড়তে থাকে। তাই স্ক্যাল্পের যত্ন নেওয়ার জন্য ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
 - গ্রিন টি:সকালে উঠেই দুধ-চিনি দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস বদলে ফেলতে হবে। তার জায়গায় চুমুক দিতে হবে গ্রিন টি-তে। চুল পড়া কমাতে উপযোগী গ্রিন টি। এই চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে চুল পড়াও কমায়। এক সপ্তাহে তফাৎ নজরে পড়বে।
 - হাইড্রেশন:শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। কারণ দেহে তরলের ঘাটতি নানা সমস্যা ডেকে আনে। ডিহাইড্রেশনের কারণে অনেকটা চুল পড়তে পারে। রোজ ২-৩ লিটার জল পান করতে হবে। তা হলে চুল পড়া কমবে। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যাবে।
 - পেঁয়াজ রস:চুল পড়া বন্ধ করতে মহিলারা যেমন পেঁয়াজ রস লাগান মাথায়, তেমনই পুরুষেরাও এই ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। চুল ও স্ক্যাল্পে পেঁয়াজের রস লাগাতে পারেন। রাতে পেঁয়াজের রস মেখে ঘুমোতে পারেন। পরদিন সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে একদিন এই টোটকা মানলেই ফল পাবেন।
 


                                    
