কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
তাঁর চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল ক্লান্তি। তাও ‘লড়াই’ যেন বজায় ছিল। বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশনের শেষ দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। ২ ঘণ্টার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন বিজেপির ৫ বিধায়ক। স্লোগান থেকে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ অধিবেশনের শেষ দিনকে ‘কালো দিন’ বললেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ উত্তাল বিধানসভা, তুমুল ধস্তাধস্তি; সাসপেন্ড শঙ্কর
এদিন অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। নিমিষে উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই সময় তাঁকে একাধিকবার নিজের আসনে বসতে বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি তা কানে নেননি। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে মার্শাল ডেকে পাঠান স্পিকার। বিধানসভা কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হয় শঙ্কর ঘোষকে। হট্টগোলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থ হন বঙ্কিম ঘোষও।
তড়িঘড়ি বিধানসভার বাইরে অ্যাম্বুল্য়ান্স নিয়ে আসেন সজল ঘোষ। মুখ্য সচেতককে মানিকতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়ে সিটি স্ক্যান ও ইকো পরীক্ষা হয়েছে শঙ্কর ঘোষের। তবে সেগুলির রিপোর্টে বিশেষ কিছু আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি, টানাহেঁচড়ার কারণে শরীরে কোনও হাড় ভেঙেছে বা চিড় খেয়েছে কিনা তা জানতেও এক্স-রে করবেন চিকিৎসকরা। ঘাড়ে, মাথায় চোট রয়েছে বলেই খবর। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ “একেবারেই একতরফা সিদ্ধান্ত”; বললেন শ্রাবণী
ওই একই হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা ছিল বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষকেও। বিজেপি সূত্রে খবর, আপাতত তাঁকে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর বুকে স্টেইন বসানো রয়েছে, পাশাপাশি ধস্তাধস্তিতে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলেই দাবি দলের।