অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন এবং একাধিক কারণে অল্প বয়সেই জাঁকিয়ে বসছে নানা অসুখ৷ যার প্রভাবে ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে৷
পুষ্টিবিদ কবিতা দেবগন বলেছেন, যে আখরোট একটি খুব স্বাস্থ্যকর বাদাম, যা পুরো শরীরকে অনেক উপকার দেয়। এটি খেলে হার্ট থেকে মস্তিষ্ক ভাল থাকে। আখরোট জলে ভিজিয়ে খেতে পারলে তা হজম করা অনেক বেশি সহজ হয়। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়।
আখরোটে রয়েছে শক্তি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান।
আরও পড়ুনঃ এই বয়সেই মাথায় টাক! এক সপ্তাহে বন্ধ হবে ছেলেদের চুল পড়া এই টিপস মানলে
আখরোট খেলে শুক্রাণুর সংখ্যা, গুণমান, গতিশীলতা এবং সামগ্রিক উর্বরতা বৃদ্ধি পেতে পারে। আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শুক্রাণুর কোষের ক্ষতি কমায় এবং সুস্থ শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
শুকনো আখরোট খাওয়ার সময় একটু তেতো লাগে, কিন্তু জলে ভিজিয়ে খাওয়ার পর এর স্বাদ আরও ভাল হয়। এছাড়া ভেজানো আখরোট চিবানোও অনেকটা সহজ।
পুষ্টিবিদ জানান,আখরোট খেলে শরীর গরম হয় তাই গরম কালে জলে ভিজিয়ে খেলে তেমন ক্ষতি হবে না। সারারাত জলে আখরোট ভিজিয়ে রেখে দিন এবং দিনে যে কোনও সময় খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খাওয়ার দরকার নেই।
আরও পড়ুনঃ অজান্তে বিপদ! পুরুষরা সাবধান! ২৪ ঘণ্টা টাইট অন্তর্বাস পরছেন!
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আখরোট খেতে পারেন। এতে ফাইবারের উপস্থিতির কারণে এটি ক্ষিধে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।আখরোট শুকনো হোক বা জলে ভিজিয়ে খাওয়া হোক না কেন, তা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।
আখরোটে উপস্থিত পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের ভেজানো বা শুকনো আখরোটও খাওয়াতে পারেন। তবে খাওয়ানোর আগে পরিমাণটা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে৷
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে ভেজানো আখরোট। এতে কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রক্তনালীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আপনি যদি হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে নিরাপদ থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত আখরোট খান।