স্বচ্ছ পরীক্ষা কি হবে? দাগি প্রসঙ্গ এড়াতে পারবে তো স্কুল সার্ভিস কমিশন? আর ঝরবে না তো কারও চোখের জল? একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়েই ৯ বছর পর ফের হচ্ছে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে প্রায় ৬ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর। কিন্তু বিরোধীরা কোনওভাবেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা। এরইমধ্যে বিস্ফোরক দাবি করে বসেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর জোরাল দাবি, এবারও ১৫২ জন দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। তাঁদের নাম সামনে আনা হয়নি। গোটা পরীক্ষা পদ্ধতিকে প্রহসনের পরীক্ষা বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। শুভেন্দুর স্পষ্ট কথা এর ফল, অশ্বডিম্ব।
আরও পড়ুনঃ ৯ বছর পর আজ এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা; স্বাভাবিক থাকবে মেট্রো পরিষেবা, রাস্তায় অতিরিক্ত বাস
আসানসোলে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই উঠেছিল এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে লাগাতার রাজ্য-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দাগতে থাকেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “১৫২ জন দাগিকে অ্য়াডমিট দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দাগি। ১৮০৬ জনের নাম ঘোষণা করেছে, আর ১৫২ জন্য দাগিকে পরীক্ষায় বসাচ্ছে। ক্রুটি যুক্ত পরীক্ষা হতে চলেছে। প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। সেন্টার প্রতি অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের লোকেরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ৯ বছর পরে একটা প্রহসনের পরীক্ষা করছে। এর ফল অশ্বডিম্ব হবে।”
আরও পড়ুনঃ নতুন সমীকরণ? রাইসিনা হিলসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
এদিকে শনিবার আবার পরীক্ষার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। ৭ তারিখ হচ্ছে নবম-দশমের পরীক্ষা। ১৪ তারিখ হবে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা। ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসছেন ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন। ১৪ তারিখে পরীক্ষায় বসছেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার প্রার্থী। ৭ সেপ্টেম্বর গোটা রাজ্যে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৩৬। ১৪ তারিখ গোটা রাজ্যে মোট পরীক্ষা কেন্দ্র থাকছে ৪৭৮টি।