Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
HomeদেশVice President Election: সরগরম দিল্লি! বিজেপির উপ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ৪২২-এর কম ভোট...

Vice President Election: সরগরম দিল্লি! বিজেপির উপ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ৪২২-এর কম ভোট পেলে বেইজ্জতি নয় কি!

ভোট দেবেন লোকসভার ৫৪২ জন সদস্য (একটি আসন খালি), রাজ্যসভার ২৩৩ জন নির্বাচিত (৫টি আসন শূন্য) ও ১২ জন মনোনীত সদস্য।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কলকাতায় বসে সবটা বোঝা যাবে না, মঙ্গলবার উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে দিল্লির রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ প্রার্থী মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া ব্লক’-এর প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি. সুদর্শন রেড্ডির মধ্যে হাই-ভোল্টেজ লড়াই হচ্ছে এই ভোটে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট দেবেন লোকসভার ৫৪২ জন সদস্য (একটি আসন খালি), রাজ্যসভার ২৩৩ জন নির্বাচিত (৫টি আসন শূন্য) ও ১২ জন মনোনীত সদস্য। ভোটগণনা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে।

আরও পড়ুনঃ জেন জ়ি প্রজন্মের কাছে শেষপর্যন্ত নতিস্বীকার নেপাল সরকারের; নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আপাত ভাবে ধরেই নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থী রাধাকৃষ্ণনই জিতবেন। তবে নয়াদিল্লি তথা গোটা দেশের রাজনীতি সেই সমীকরণের দিকে তাকিয়ে নেই। বরং তাকিয়ে রয়েছে, লোকসভা ভোটের পর সরকার গঠনের সময়ে নরেন্দ্র মোদীর কাছে যে সংখ্যার তাকত ছিল, তা অটুট রয়েছে কি? রাধাকৃষ্ণন কি তার চেয়ে বেশি ভোট পেলেন, নাকি কম? যদি কম হয়, তাহলে নরেন্দ্র মোদীর বেইজ্জতি নয় কি! কারণ, তাতে স্পষ্ট হয়ে যাবে শাসক জোটের মধ্যেই চিড় ধরেছে, এবং ক্রস ভোটিং হয়েছে।

অঙ্কটা আরও ভাল করে বোঝা যাক। লোকসভায় এনডিএ-র স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। লোকসভায় ২৯৩ জনের সমর্থন রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর। রাজ্যসভায় সমর্থন রয়েছে ১২৯ জন সাংসদের। সব মিলিয়ে দুই কক্ষ মিলিয়ে এনডিএর পাশে রয়েছে ৭৮২ জনের মধ্যে ৪২২ জন সাংসদ। যেখানে জয় পেতে প্রয়োজন মাত্র ৩৯৪ ভোট। ফলে রাধাকৃষ্ণনের জয়ের রাস্তা অনেকটাই সহজ।

আরও পড়ুনঃ কাতর আর্জি! মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মমতা দিদুন’ সম্বোধন করে খোলা চিঠি স্কুল শিক্ষিকার ছোট্ট ছেলের

কিন্তু বিজেপি নেতাদের চোখ মুখ দেখে অনেকের মনে হচ্ছে, বাইরে থেকে যতটা সহজ দেখাচ্ছে, ব্যাপারটা ততটা সহজ নয়।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজনীতিতে চালাকি অনেক সময়েই উল্টো ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। জগদীপ ধনকড়কে সরিয়ে দেওয়ার যে কৌশল বিজেপি-শিবির নিয়েছিল, তা উল্টে বিরোধীদের হাতে সোনার সুযোগ হয়ে উঠেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও সরকার কেন উদ্বেগে ভুগছে, সেটাই বড় প্রশ্ন। কারণ হিসেবে সামনে আসছে বিজেপির ভেতরে বিদ্রোহের গুঞ্জন। যদি কিছু বিজেপি সাংসদ ক্রস ভোট করেন, তবে ছবিটা একেবারেই পাল্টে যেতে পারে।

সংসদে স্বস্তিজনক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও এই আতঙ্ক যে বাস্তব হয়ে উঠছে, তা প্রকারান্তরে মোদী-অমিত শাহ জুটির কৌশলগত দুর্বলতাও জানান দিচ্ছে বলে কারও কারও মত। বিরোধী প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি বি. সুদর্শন রেড্ডির নাম ঘোষণার পর থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার সাংসদদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। হিসেব যদিও বলছে, এনডিএ তাদের ছাড়াই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। তবু আতঙ্ক কাটছে না। মোদী ও শাহ ব্যক্তিগতভাবে সাংসদদের ফোন করছেন, আবার কোথাও কোথাও ভোজসভা, কর্মশালা আয়োজন করে সাংসদদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে এতটা দুর্বল কখনও দেখায়নি।

চুম্বকে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সমীকরণ এখন বিজেপির জন্য বড় মাথাব্যথায় পরিণত হয়েছে। জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, এই নির্বাচনের ফল মোদী সরকারের স্থায়িত্ব এবং ভবিষ্যৎ কৌশলকে গভীরভাবে প্রভাবিত করবে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন