কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
বাংলাদেশের পর ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ অশান্ত। নেপালের অশান্তির আবহে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশেষ সতর্কতা বাংলার সীমান্তেও। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নেপালের সীমান্তও রয়েছে। যে অংশে অশান্তির আগুন জ্বলছে, তার থেকে বাংলা সীমান্তের দূরত্বও বেশি নয়। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল রাজ্য পুলিশ।
নেপালের আঁচ যাতে এ রাজ্যে না পড়ে, তার জন্য নেপাল-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। সোমবার রাতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এই বিষয়ে দার্জিলিং-এর পুলিশ সুপার এবং নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকার অন্যান্য পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতেই; নেপালের সেনাপ্রধান হাত গুটিয়ে নিতেই ইস্তফা ওলির, ‘চিকিৎসা’ করাতে দুবাই যাত্রা প্রধানমন্ত্রীর?
সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হল বিশাল ফোর্স। র্যাফ থেকে শুরু করে কমব্যাট ফোর্স নামানো হচ্ছে সব বাহিনী। মিরিক সংলগ্ন পশুপতি নগর, পানিট্যাঙ্কি , কাঁকরভিটা এলাকায় ইন্টেলিজেন্স বাড়ানোর নির্দেশ দিছেন ডিজিপি। কাঁকরভিটা সীমান্তের ওপারে টায়ার জ্বালানো মতো ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালেও সেই ঘটনার খবর পেয়ে এসপি দার্জিলিং পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। নেপালের আঁচ কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গে পড়তে দেওয়া যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি।
এদিকে, নেপালের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। নয়া প্রজন্মের আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত বাসভবন দখল করে নিয়েছে তারা। জ্বলছে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভবন। ইতিমধ্যেই দেশ ছাড়ার জন্য হেলিকপ্টারে চেপেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট কে পি ওলি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সাত মন্ত্রী।