সোশাল মিডিয়া উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, হিংসার আগুন নিভছে না নেপালে। Gen-Z বিক্ষোভ এবার ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভা। নেপালি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যে হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়েছেন ওলি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সরকারি অফিস। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তাতেও সেই উদ্বেগ ঝরে পড়ল।
আরও পড়ুনঃ ‘কঠোর নজরদারি চলবে’, রাস্তার দখল নিল সেনা
এদিন সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক। প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য এদিন জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকও ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে মোদি বললেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন, আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” যেভাবে একগুচ্ছ তরুণ প্রাণ চলে গিয়েছে তাতে শোকপ্রকাশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়শি দেশের হিংসায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। শুরুতেই বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যেসমস্ত ভারতীয়রা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের।’ মঙ্গলবার ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। সীমান্তগুলিতেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কোনওভাবেই ভারতীয় নাগরিক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে ভারত।
আরও পড়ুনঃ জ্বলছে প্রতিবেশী নেপাল, অশান্তির আঁচ কলকাতার সোনাগাছিতে; উদ্বেগে সোনাগাছির নেপালি যৌনকর্মীরা
তাছাড়া অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সে বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপর। নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রীর বার্তাতেই স্পষ্ট।