সামনেই দুর্গাপুজো। এই পুজোতে ফুল হিসেবে মূলত ব্যবহৃত হয় গাঁদা ফুল। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা, খড়গপুর গ্রামীণ-সহ একাধিক এলাকার চাষিরা বেশ কয়েক বিঘা চাষের জমিতে লাগিয়েছেন গাঁদা ফুল। যার থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ জুটতে পারে তাঁদের। তাই হাসি ফুটছে কৃষকদের মুখে মুখে।
আরও পড়ুনঃ চৌধুরীবাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে; বলির সময় হরিনাম!
ধান চাষ করে মেলে না লাভ। তাই পুজোর আগে বিকল্প আয়ের পথ খোঁজেন চাষিরা। চলতি মরশুমে দামও পাচ্ছে বেশ। প্রয়োজন মত সামান্য ধান চাষ করে বাকি ধান চাষের জমিতে এই একটি ফুলের চাষ করে পুজোর আগে বেশ ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।
পুজোর ক’টা দিনও ভাল রোজগার হতে পারে তাদের। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় এই চাষ দিচ্ছে বাড়তি রোজগার। ধান চাষ করে তেমন লাভ না মেলায় প্রান্তিক এলাকার কৃষকেরা এই ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছেন। অন্যান্য কৃষকদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।
শ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, সবং, পিংলা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ এলাকার চাষিরা মূলত ফুল চাষের উপর নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। ধান চাষের জমিকে পরিবর্তিত করেছেন ফুল চাষে।
আরও পড়ুনঃ ‘শক্তি’ ফুরিয়েগিয়েছিল! শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে গেল ট্যাঙ্কার
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা, খড়গপুর গ্রামীনের বেশ কিছু অংশে গাঁদা ফুলের চাষ করে চাষিরা। যার থেকে চলতি মরশুমে ভাল উপার্জন হচ্ছে কৃষকদের। সামান্য খরচ ও পরিচর্যাতে প্রতিমাসে বেশ ভাল উপার্জন হচ্ছে তাদের। ধান চাষের তুলনায় বেশ কয়েক গুণ পর্যন্ত লাভ জুটছে এই গাঁদা ফুলের চাষ করে।
মাঠ জুড়ে ফুটে আছে গাঁদা ফুল। জানা যায় প্রতি বিঘা গাঁদা ফুলের চাষে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। এরপর একটি মরশুমে থাকে সার ও ওষুধের খরচ। তবে সেই এক বিঘা থেকে বেশ কয়েকগুন পর্যন্ত লাভ মিলতে পারে।
স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয় গাঁদা। পুজোর আগে বাজারে বিকচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। শুধু তাই নয় পুজোর কটা দিন ভাল উপার্জনের আশা করছেন কৃষকেরা। বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত ফুল দেয় এই গাঁদা গাছ।