সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ
বাড়ির পাশে খেলছিল। আশপাশে কেউ ছিল না। গুটি গুটি পায়ে শিশুটি যে এগিয়ে যাচ্ছে, কারও নজরে পড়েনি। তারপরই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাড়ির নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের জলে ডুবে মৃত্যু হল ৪ বছরের শিশুর। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি টি স্টেটের দমনপুর এলাকায়। মৃত শিশুর নাম মিত ওরাওঁ।
আরও পড়ুনঃ পাথর তোলার সময় বীরভূমের খাদানে ধস, মৃত ৫ শ্রমিক
বাবা-মা দু’জনই শ্রমিক। মিতের বাবা অসমে কর্মরত। মা মাঝেরডাবরি চা বাগানের শ্রমিক। মা ও বাবার বিয়ের তিন বছর পর মিতের জন্ম হয়েছিল। সে ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান। মিতকে বাড়িতে ঠাকুরদা-ঠাকুরমার কাছে রেখে তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ির পাশে খেলছিল মিত। বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। সেই গর্তে জমেছিল জল। খেলতে খেলতেই সে কোনওভাবে সেই গর্তে পড়ে যায়। সে সময় বাড়ির কেউ আশপাশে ছিল না। পরে তাকে সেপটিক ট্যাঙ্কের জলে তাকে পড়ে থাকতে দেখে ঠাকুরদা জল থেকে তুলে আনে। তার পেটের জল বের করার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনঃ ধরা পড়ল CCTV-তে! চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে সোজা চলে গেলেন নীচে
তারপর শিশুটিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মিতের মা ও পরিজনরা। প্রতিবেশীরা বলছেন, শিশুটি যে কখন সেপটিক ট্যাঙ্কের সামনে চলে গিয়েছিল, তা কেউ খেয়ালই করেনি। প্রশ্ন উঠছে, নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কটি ঢাকা দিয়ে রাখা হয়নি কেন?