স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিল ভারত৷ শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় গৃহীত নিউ ইয়র্ক ঘোষণাপত্রে যে ১৪২ দেশ স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ভারত৷শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় স্বাধীন প্যালেস্তাই রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হয়৷ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪২টি দেশ৷ ১০টি দেশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং ১২টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে৷
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের পক্ষে৷ আরব দেশগুলি বাইরে কোনও দেশ হিসেবে ভারতই ১৯৮৮ সালে প্রথম বার প্যালেস্তাইনকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷
আরও পড়ুনঃ 3D এয়ার সার্ভিল্যান্স রাডার! শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় গৃহীত এই সিদ্ধান্তকে নিউ ইয়র্ক ঘোষণাপত্র হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে৷ প্যালেস্তাইনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ অবসান ঘটানোই ছিল এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য৷ যাতে ইজরায়েলের মতোই প্যালেস্তাইনকেও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়৷ প্যালেস্তাইন সমস্যার সমাধানে যে প্রক্রিয়া দশকের পর দশক ধরে ঝুলে রয়েছে৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে এ দিন একই সঙ্গে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলারও নিন্দা করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে হামাসের কাছে অবিলম্বে সব পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া এবং সমস্ত অস্ত্র হস্তান্তরের জন্যও দাবি জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়৷ একই সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে হামাসকে গাজার দখল ছাড়তে হবে যাতে প্যালেস্তেনীয় কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় সরকার পরিচালনা করতে পারে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য হামাসকে অবিলম্বে গাজার দখল ছাড়তে হবে এবং প্যালেস্তেনীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের কাছে থাকা সমস্ত অস্ত্র জমা দিতে হবে৷ যাতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ এবং সহযোগিতায় সার্বভৌম এবং স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হয়৷
আরও পড়ুনঃ নেপালে নতুন ইতিহাস; প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি থেকে প্রথম মহিলা ‘কেয়ারটেকার’ প্রধানমন্ত্রী
একই সঙ্গে এই ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে প্যালেস্তাইনে স্থিতাবস্থা ফেরানোর জন্য একটি অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটি বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয় এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও যথাযথ ভাবে এগোয়৷