মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি। নকশাল আন্দোলনের তেজ কমে বাংলা পেরিয়ে ভারতের বুকে যখন শুরু হচ্ছে মাওবাদী উপদ্রব, সেই সময়কালে কারওর শিরদাঁড়ায় হিমস্রোত বওয়াতে এই একটাই নামটাই যথেষ্ট ছিল। বাংলার লালগড়কে একটা বড় সময় নিজের হাতের মুঠোয় রেখেছিলেন এই মাওবাদী নেতা। জঙ্গলের অন্দরে দিনের পর দিন ছিলেন লুকিয়ে। এবার সেই কিষেণজি-র পত্নি অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে।
আরও পড়ুনঃ নবরূপে সেনাপতি! পেশিবহুল হাত, ঘামে ভেজা শরীর! অভিষেকই তো?
পথৌলা পদ্মাবতী ওরফে সুজাতা ওরফে কল্পনা। ১৯৮২ সাল থেকে পুলিশের কাছে তাঁর কোনও হদিশ ছিল না। সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। কেউ কেউ বলেন, কিষেণজি যখন বাংলায় নিজের সশস্ত্র আন্দোলন তৈরির কাজে নেমেছেন। সেই সময় কল্পনা পড়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চলে। এমনকি, ২০১১ সালে কিষেণজি এনকাউন্টারের সময়ও সেখানে যে মহিলা ছিলেন তিনি সুজাতা নন সুচিত্রা, কিষেণজি ঘনিষ্ঠ মহিলা মাওবাদী কমান্ডর।
স্বামীর মৃত্যুর ১৪ বছরের মাথায় শনিবার হায়দরাবাদে তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিজিপি-র উপস্থিতি আত্মসমর্পণ করলেন সুজাতা। আত্মসমর্পণের আগে পর্যন্ত তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। এই আত্মসমর্পণকে তেলেঙ্গানা পুলিশ নিজেদের ‘নৈতিক জয়’ বলেই দাবি করেছে। পাশাপাশি, তারা জানিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৪০৪ জন মাওবাদী তাদের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য দুর্গাপুজো, ক্লাবগুলোকে আলাদা করে চাঁদা দেবে কোচবিহারের তৃণমূল
উল্লেখ্য, তেলেঙ্গানার একটি দরিদ্র চাষি পরিবারে জন্ম হয়েছিল সুজাতার। নিজের ভাই-বোনের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে মাওবাদী সংগঠনে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় পদও। সেই সময়ই নিষিদ্ধ সংগঠনের কাজের জন্য ছত্তীসগঢ়, তেলেঙ্গানা এবং ওড়িশায় ‘ওয়ান্টেড’ হয়েছিলেন তিনি।