সমর্থন বাড়ছে আওয়ামী লিগের। শেখ হাসিনার দলকে দেখে লোকজন আর বিরক্তি প্রকাশ করছে না। আওয়ামী লিগের কর্মসূচিতে বাধাও দিচ্ছে না।
রবিবার রাতে ঢাকায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই কথা বলেন পুলিশ সহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ পদাধিকারী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সভায় একাধিক উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তাদের কাছে জানতে চান, আওয়ামী লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগ। তাহলে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে তারা কী করে মিটিং মিছিল করতে পারছে। পুলিশ কেন জানতে পারছে না।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করলে, তা বিফল হবেই’, বললেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী
প্রায় একমাস হতে চলল আওয়ামী লিগ জের কদমে ময়দানে সক্রিয়। তাদের ঝটিকা মিছিল নিয়ে বিএনপি সহ আওয়ামী লিগ বিরোধী দলগুলিও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
রবিবার রাতে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বৈঠকে নিরাপত্তা আধিকারিকরা এর দায় রাজনৈতিক দলগুলির উপর চাপান। তাঁরা বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ প্রতিরোধ কমে গিয়েছে। আগের মতো আর আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে অন্য দলগুলিকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সাবেক শাসক দলের বিষয়ে অবস্থান বদল হয়েছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ মিটিং মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। পুলিশ, গোয়েন্দারা আগের মতো শেখ হাসিনার দলের কর্মসূচি আগাম জানতে পারছে না।
আরও পড়ুনঃ ‘রিটার্ন গিফ্ট’ গোটা দেশ ও ভারতীয় সেনাকে সূর্যর
আওয়ামী লিগের ধৃত নেতাকর্মীদের অনেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে বলে বৈঠকে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আওয়ামী আমলের বিচারকরা জামিন দিয়ে দিচ্ছেন। পুলিশও ঠিক করে রিপোর্ট দিচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসও আওয়ামী লিগের মিটিং মিছিল বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভেস্তে দিতেই সাবেক শাসক দল প্রস্তুত হচ্ছে। যে কোনও মূল্যে আওয়ামী লিগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে হবে।