তারকেশ্বরে তুমুল হইচই। খাসির মাংসের সঙ্গে ছাগলের মাংস মিশিয়ে তা বিক্রির অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই হট্টগোল তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা এলাকায়। তবে এই বিষয়টি নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনীতি। যিনি এই খাসির মাংসের বিক্রেতা তিনি আবার তৃণমূলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য। ফলত, জানাজানি হতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মাংস বিক্রেতা তৃণমূলের কেউ নন। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিক।
আরও পড়ুনঃ পুজো সংখ্যায় জুড়ল নতুন গল্প! লাল পেড়ে শাড়ি
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে চাঁপাডাঙা এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সামন্ত। তিনি খাসির মাংস কিনতে গিয়েছিলেন বিক্রেতা নিজাম শেখের দোকানে। মাংস কেনার পর বুঝতে পারেন খাসির মাংসের বদলে দেওয়া তাঁকে দেওয়া হয়েছে ছাগলের মাংস। কেন এই ভাবে ঠকানো হবে? সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপর খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়তেই হট্টগোল শুরু হয়। নিজামের দোকানের সামনে ভিড় জমতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় তারকেশ্বর থানায়।পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুনঃ চিৎকার চেঁচামেচি, ঝুলছে ট্রেন! ফের মুম্বইতে থমকে গেল মনোরেল
যদিও হট্টগোল শুরু হতেই দোকান থেকে চম্পট দেয় মালিক নিজাম শেখ ও দোকানেই দুই কর্মী। তবে নিজামের ভাগ্না গোলাম রসুল বলেন, “মাঝে মধ্যে খাসির মাংসের বদলে ছাগলের মাংস বিক্রি করা হত। মামার অজান্তেই বিক্রি করত দোকানের কর্মচারিরা।”
বিজেপি আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল মানেই চোর।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল যুব সভাপতি আবদুল আক্তারের দাবি, “উনি কেউ নন। ভুল করলে শাস্তি পেতে হবে সে যেই হোক।”