বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকার ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ কাল সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেও, খোলা থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি এই ছুটি অনুমোদন করছেন না।
সরকার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ছুটি থাকবে। ফলে স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান—সবকিছুই বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু সেই পথে হাঁটল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুনঃ ফোনেই ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সংঘাত মেটানোর চেষ্টা মার্কিন প্রেসিডেন্টের?
উপাচার্য শুধু বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশই দেননি, একইসঙ্গে সেদিনই স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় দফার ভর্তির কাউন্সেলিংও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনওদিনই বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে ছুটি থাকত না। অর্থ দফতর ও উচ্চশিক্ষা দফতর যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তা আমাদের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়নি। আমরা একটি স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আগামী কাল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে।”
যদিও রাজ্যের অর্থ দফতর ইতিমধ্যেই ছুটি ঘোষণার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে এবং সেই অনুযায়ী যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, প্রেসিডেন্সির মতো অন্যান্য স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের নিয়মে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
নবান্নের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতেও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর প্রকাশিত ক্যালেন্ডারেই বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটির কথা বলা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে— সম্প্রতি রাজ্য সরকার ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মধ্যে চলতে থাকা অস্বস্তিকর টানাপড়েন কি এবার সরকারি ছুটির ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলল?
আরও পড়ুনঃ বাম ‘বঞ্চিত’ নেতাদের ‘বার্তা’ বিজেপির; বাম নেতারাও কি রামের শিবিরে পা বাড়িয়ে?
এ ঘটনাকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও শুরু হয়েছে মতবিরোধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সনাতন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ থাকলেও আপাতত এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাইছি না।”
সরকারি ক্যালেন্ডারে ছুটি আগে থেকেই নির্ধারিত থাকলেও তা কার্যত উপেক্ষা করে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কাউন্সেলিং চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।