সোমবার থেকে দেশে কার্যকর হয়ে গেল নতুন জিএসটি কাঠামো। রবিবার বিকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ‘আরও সাশ্রয়’ করার কথা। তারপর দিন পেরতেই সূচনা নতুন অধ্য়ায়ের। কার্যকর জিএসটি ২.০। দুধ, ছানা, পনির থেকে শুরু করে জীবনদায়ী ওষুধ, দাম কমবে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রীর।
আরও পড়ুনঃ খরচ কমবে আপনার; আজ থেকে বেশি দাম নিতে পারবে না দোকানিরা
সোমের সকাল থেকে জিএসটি-র নতুন কাঠামো কার্যকর হলেও এখনও পুরনো দামেই সামগ্রী কিনতে হচ্ছে বহু মানুষকে। এদিন এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তো পুরনো দামেই কিনলাম। কারণ, এখনও অবধি এরা পুরনো স্টকের পণ্যই বিক্রি করছে। পুজোর সময় দামটা কমলে ভাল হত।’
অন্য আর এক ক্রেতা বললেন, ‘এখন চিনি কিনে নিয়ে আসলাম বেশি দাম দিয়ে। ওরা আবার আমাকে বলছে, পশ্চিমবঙ্গে লাগু হবে না। খুব তর্ক করছিল দাম কমা নিয়ে। আপাতত এখানে দেখলাম কিছুই কমেনি।’
আরও পড়ুনঃ “আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ”; বললেন মোদী
ইতিমধ্যেই দাম না কমানো নিয়ে বহু বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তাদের দাবি, নতুন জিএসটি কাঠামো কার্যকর হলেও এখনও কিছুই দাম কমানো হয়নি। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল এক দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে বিক্রেতাকে। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে তো পুরনো লটের সামগ্রীই বিক্রি করলাম। ডিলার ফোন করেছিলাম। তিনি জানালেন, বিকাল থেকেই নতুন জিএসটি-র সামগ্রী পেয়ে যাব।’
উল্লেখ্য়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি নতুন জিএসটি কাঠামোতে ওষুধের উপরও ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। এক ধাক্কায় দাম কমেছে ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধের। এদিন কলকাতারই এক নামী ওষুধের দোকানের কর্ণধার বললেন, ‘আগে রক্তচাপ কমাতে ব্যবহৃত ওষুধ টেলমার্কের দাম ছিল ২২৭ টাকা। তা এবার থেকে হয়ে গিয়েছে ২১২ টাকা। আমাদের কাছে নতুন প্রিন্টের ওষুধ এখনও আসেনি। কিন্তু আমরা তারপরেও নতুন জিএসটি কাঠামোতেই ওষুধ বিক্রি করছি। ক্রেতারাও স্বস্তি পাচ্ছেন।’