কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে রাস্তাঘাট। জনজীবন বিপর্যস্ত। এরই মধ্যে দিঘায় বিশেষ সতর্কতা জারি। হাই টাইডের কারণে মঙ্গলবার উত্তাল সমুদ্র। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। সমুদ্রের পার ধরে চলছে মাইকিং। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি জিনিস গুছিয়ে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আজ রাত ২.২৩…! গঙ্গায় ধেয়ে আসবে বান, বাড়বে জলস্তর, বন্ধ থাকবে লকগেট! ফের বানভাসী কলকাতা?
বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। রাজ্যের উপকূল-সহ বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই নিয়ে সতর্ক করে মাইকে প্রচার চলছে দিঘায়। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও জরুরি কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
তবে অযথা আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই, বরং সতর্ক থাকুন, পরামর্শ জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক বা ডিডিএমও মৃত্যুঞ্জয় হালদারের। প্রয়োজনে জেলার কন্ট্রোল রুমে ফোন করার কথাও বলেছেন তিনি। হেল্পলাইন নম্বরটি হলো ০৩২২৮-২৬২৭২৮।
আরও পড়ুনঃ বড় আপডেট! আগামী ২৪ ঘণ্টা আরও ভয়ঙ্কর…! তুলকালাম ঝড়-বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা?
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুস্পষ্ট হবে সাগরের উপরে থাকা নিম্নচাপ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রামনগর-১ ব্লক প্রশাসনের তরফে দিঘা-সহ সৈকত লাগোয়া এলাকাগুলিতে সতর্ক করে প্রচার চালানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোবাইল, ইমার্জেন্সি লাইট চার্জ দিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবারও বহু পর্যটক দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। রামনগর-১ ব্লকের পদিমা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্তকুমার পাত্র জানান, জেলা প্রশাসনের তরফে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ভরা জোয়ারের সময়ে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।