দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা:
‘এলো এলো এলো এলো মা….. দুর্গা মা’, ‘বলো দুগ্গা মাই কি জয়’….. আর কদিন পরই গোটা বাংলাজুড়ে শোনা যাবে এই ধ্বনিটি। দুর্গাপূজো উপলক্ষে আলোয় আলোয় ভরে যাবে রাস্তা। আবারো ভিড়ে ভিড় হবে রাস্তার প্রত্যেকটি কোনা। মহালয়ার পরই যা পরিস্থিতি, তাতে প্রতিবারের মতো যে এবারও ভিড় উপচে পড়বে, তা বেশ স্পষ্ট। বলা ভালো, কোন সন্দেহ নেই এই ব্যাপারে।
আরও পড়ুনঃ বউ নিয়ে এ কি কাণ্ড! কলা বউ গণেশের সত্যিকারের বউ নয়?
দুর্গাপূজো মানেই ‘সিটি অফ জয়’, ওরফে কলকাতা। আর কলকাতায় মা দুর্গাকে দেখার ভিড় মানে উত্তর কলকাতা। শহরের এই অঞ্চল প্রতিবছরই পুজোর সময় দেখা যায় এক অন্য মাত্রার ভিড়। এখানকার প্যান্ডেলগুলি এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যে মানুষ সবকিছু উপেক্ষা করে হাজির হতে বাধ্য। যদিও সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞদের মতে ‘রিচ কালচারাল হেরিটেজ’ একটা বৈশিষ্ট্য উত্তর কলকাতার, যা পুজোপ্রেমীদের আকর্ষিত করে, বলা ভালো, বাধ্য করে এখানে আসতে।
উত্তর কলকাতায় রয়েছে একাধিক বড় পূজো, যার মধ্যে অন্যতম লালাবাগান নবাঙ্কুর। রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের উপরে অবস্থিত এই পুজো। প্রতিবছরই কিছু না কিছু নতুন থিম পুজোপ্রেমীদের উপহার দেওয়া হয় পূজো কমিটির তরফ থেকে। বলে রাখা ভালো, এই পুজো অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং একাধিকবার পুরস্কারও পেয়েছে। গোটা উত্তর কলকাতা ‘লালাবাগান নবাঙ্কুর’কে এক কথায় চেনে। ৮ থেকে ৮০, সকলেরই এই পুজো নিয়ে উন্মাদনা আলাদা মাত্রার থাকে প্রতিবছর।
আরও পড়ুনঃ গুরুত্বপূর্ণ এই পুজো! সন্ধিপুজোয় দেবী দুর্গার বদলে এই সময় পূজিতা হন তাঁরই উগ্র ও ভয়াল এক রূপ
যখন কথা ওঠে ‘লালাবাগান নবাঙ্কুর’এর পূজোর থিম নিয়ে, তখন সকলেই অপেক্ষা করেন কিছু না কিছু নতুনত্বের। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এবারের পূজোয় তাদের থিম ‘কারাগার’। সকলে যাতে ‘লালাবাগান নবাঙ্কুর’এর পূজো চিরকাল মনে রাখেন, তার জন্য দিনরাত এক করে খেটেছেন পূজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে শিল্পী সকলেই। এবারের পুজো প্রসঙ্গে ‘লালাবাগান নবাঙ্কুর’এর সেক্রেটারি তাপস কুমার রায় বলেছেন, “আমাদের থিমের নাম কারাগার। আমরা দেখাবো কি করে সমুদ্র দূষণ রোখা যায়। মানুষকে সচেতন করার জন্য এটা আমাদের একটা ছোট প্রয়াস।” অন্যদিকে, শিল্পী প্রশান্ত পাল বলেন, “কাজ চালু করেছি আমরা প্রায় দুই-আড়াই মাস আগে। তবে প্রস্তুতি অনেকদিন ধরেই নেওয়া হয়েছে।”